-ফাইল ছবি।
কোভিড রোগীদের বাহুতে রক্ত গুরুতর ভাবে জমাট বেঁধে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গেল। এই প্রথম। দেখা গেল, রোগীদের বাহুতে এক বার নয়, উপর্যুপরি রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে।
ঘটনাটি প্রথম ধরা পড়ল রুটার্স রবার্ট উড জনসন মেডিক্যাল স্কুলের গবেষক, চিকিৎসকদের চোখে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ভাইরাসেস-এ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনাই প্রথম দেখাল, মানবদেহে সার্স-কভ-২ ভাইরাসের আক্রমণের ফলে সৃষ্টি হওয়া প্রদাহ (ইনফ্ল্যামেশন) কী ভাবে ধমনীতে বেশি পরিমাণে রক্ত জমাট বাঁধতে মদত জোগাচ্ছে। এর ফলে, কোভিড রোগীদের ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধা রুখতে কী কী করণীয় এ বার তা বোঝার রাস্তাটা খুলে গেল।
গত বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার কোভিড রোগীর উপর পরীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা।
ধমনীতে রক্তের এই জমাট বেঁধে যাওয়ার ঘটনাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়, ‘ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস’। গবেষণাপত্র জানাচ্ছে, কোভিড রোগীর ধমনীতে এই প্রথম এত ঘনঘন এত বেশি পরিমাণে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে দেখা গেল। ঘটনাটি ঘটতে দেখা গিয়েছে ৮৫ বছর বয়সি এক কোভিড রোগীর বাঁ দিকের ঊর্ধ্ববাহুতে। আগেও ওই রোগীর বাহুতে রক্ত জমাট বাঁধতে দেখা গিয়েছে।
মুখ্য গবেষক পায়াল পারিখ এবং রুটার্স রবার্ট উড জনসন মেডিক্যাল স্কুলের অধ্যাপক মার্টিন ব্লেসার বলেছেন, ওই রোগীর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা খুব নীচে নেমে না গেলেও এই ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। যা বিরলই। কারণ, সাধারণত এমন ঘটনা ঘটার আগে প্রদাহের কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু যাঁরা মোটামুটি ভাবে স্বাস্থ্যবান, যাঁদের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা খুব নীচে নেমে যায়নি, এমন ঘটনা তাঁদের ক্ষেত্রে ঘটতে এর আগে দেখা যায়নি।
পায়াল ও মার্টিন দু’জনেই জানিয়েছেন, এমন ঘটনা মূলত ঘটে দু’পায়ের ধমনীতে। রক্ত ধমনীতে জমাট বাঁধার এমন ঘটনা বাহুতে ঘটে মাত্র ১০ শতাংশ। তার মাত্র ৯ শতাংশ ক্ষেত্রে বাহুর ধমনীতে রক্ত বারবার জমাট বাঁধতে দেখা গিয়েছে।