অধ্যাপক সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায়।- ফাইল ছবি।
বিজ্ঞানের জগৎসভায় ফের এক বঙ্গসন্তানের নাম। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব ফিজিওলজিক্যাল সায়েন্সেস (আইইউপিএস)-এর ‘ফেলো’ নির্বাচিত হলেন শান্তিনিকেতনের ‘সোনা’। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস (এনসিবিএস)-এর সিনিয়র প্রফেসর ও সেন্টার ফর ব্রেন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিপেয়ার-এর অধিকর্তা সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায় পরিচিতদের মধ্যে ‘সোনা’ নামেই খ্যাত।। মানসিক চাপ থেকে উদ্বেগ, অবসাদের জন্য মানবমস্তিষ্কের অ্যামিগডালার ভূমিকার উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোকপাতের জন্যই এই সুমন্ত্রের এই স্বীকৃতি বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আইইউপিএস এই বছরের জন্য বিশ্বের যে ৩০ জন জীববিজ্ঞানীকে ‘ফেলো’-র স্বীকৃতি দিল, সুমন্ত্রই তাঁদের মধ্যে এক মাত্র ভারতীয়। এশিয়ায় তৃতীয়।এই ৩০ জন ছাড়া তিন নোবেল পুরস্কারজয়ীকেও ‘সাম্মানিক ফেলো’-র স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নোবেলজয়ী পিটার সি আগ্রে, স্টেফান ডব্লিউ হেল এবং এইচ সি এরউইন নেহের।শান্তিনিকতনের তিন পুরুষের বাসিন্দা চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সন্তান সুমন্ত্র মূলত কাজ করেন মানসিক চাপ নিয়ে। সেই চাপ থেকেই উদ্বেগ আর মানসিক অবসাদের মতো নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হয় মানুষকে। যে রোগগুলি দীর্ঘমেয়াদি। এই সব রোগ নিরাময়ের চেষ্টায় সুমন্ত্র কয়েক দশক ধরে কাজ করে চলেছেন এদের পিছনে মানবমস্তিষ্কের অ্যামিগডালার ভূমিকা নিয়ে। বহু ক্ষেত্রেই তাঁর গবেষণা হয়ে উঠছে পথপ্রদর্শক।
আরও পড়ুন
শিশুদের শরীরে কোভোভ্যাক্সের ট্রায়ালে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের, বড় ধাক্কা খেল সিরাম
আরও পড়ুন
কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মাত্র ৯০ লক্ষ, জুলাইতেও রাজ্যে টিকার আকাল থাকার আশঙ্কা প্রবল
সুমন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার আরও একটি ক্ষেত্র ‘অটিজম’। যার কারণ মূলত জিনগত। সুমন্ত্রের গবেষণার অভিনবত্ব, এই সব মানসিক রোগে তিনি পরিবেশ ও জিনের ভূমিকা খুব স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন তাঁর গত কয়েক দশকের গবেষণায়।সুমন্ত্র অবশ্য ভারতে তাঁর এই বিরল সম্মানের কৃতিত্ব দিয়েছেন তাঁর গবেষক ছাত্রছাত্রীদের। তিনি বলছেন, “আমার উজ্জ্বল ছাত্রছাত্রীরা না থাকলে এই সম্মান পাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হত না।”