নাসার সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, হিমবাহ আর দুই মেরুর বরফ দ্রুত হারে গলার ফলে ১০০ বছর পর এই শহরগুলি তলিয়ে যাবে সমুদ্রগর্ভে।
অনিবার্য ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে প্রহর গুণছে ম্যাঙ্গালোর। উষ্ণায়নের ফলে ম্যাঙ্গালোরে সমুদ্রের জল-স্তর ১০০ বছর পর বাড়বে ১৫.৯৮ সেন্টিমিটার। যার ফলে একেবারেই তলিয়ে যাবে ম্যাঙ্গালোর শহর। কোনও চিহ্নই থাকবে না ওই শহরের আগামী শতাব্দীতে।
না, বিলাসিতার শহর, ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বইও বাঁচবে না ধ্বংসের হাত থেকে। নাসা জানাচ্ছে, সমুদ্রের জল-স্তর যে দ্রুত হারে বাড়ছে উত্তরোত্তর, তাতে ১০০ বছর পর অনিবার্য ভাবেই জলের অতলে তলিয়ে যাবে মুম্বই। নিই ইয়র্ক আর লন্ডনের চেয়েও তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি মুম্বইয়েরই।
তলিয়ে যাবে অন্ধ্রপ্রদেশের বন্দর শহর কাকিনাড়াও।
অন্যতম গবেষক নাসার বিজ্ঞানী সুরেন্দ্র অধিকারী বলছেন, ‘‘রেহাই পাবে না বাংলাদেশের বন্দর শহর চট্টগ্রামও। বিশ্বের বাকি ২৯২টি শহরের সঙ্গে চট্টগ্রামও হারিয়ে যাবে জলের অতলে, ১০০ বছর পর। সমুদ্রের জল-স্তর যে ভাবে বাড়ছে, তাতে চট্টগ্রামকে বাঁচানো আর সম্ভব হবে না।’’
কয়েক বছর আগে ব্রিটিশদের হাতছুট হয়ে পাকাপাকি ভাবে চিনের ‘পকেটে’ ঢুকলেও সমুদ্রের জল-স্তর হু হু করে বেড়ে চলায় তলিয়ে যাবে সাধের, শখের হংকং শহরও। ১০০ বছর পর। নাসার গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
সমুদ্রে পুরোপুরি ডুবে যাবে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার রাজধানী, বন্দর শহর কলম্বোও।
গোটা ভারতীয় উপমহাদেশ আর তার লাগোয়া এলাকাগুলির অবস্থাও হবে করুণ। নাসার সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, সমুদ্রের জল-স্তর আর ১ মিটার বাড়লেই ভারতীয় উপমহাদেশের অন্তত ১৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা সমুদ্রের অতলে তলিয়ে যাবে। হারিয়ে যাবে চিনের অন্যতম ব্যস্ত বন্দর শহর সাংহাই।
তলিযে যাবে স্ট্যাচু অফ লিবার্টির ঝাঁ চকচকে শহর নিউ ইয়র্কও। ১০০ বছর পর।
উষ্ণায়নের জন্য পৃথিবীর সমুদ্রতল কতটা উঠতে পারে ১০ এবং ১০০ বছর পর, তার পূর্বাভাস দিতে গ্র্যাডিয়েন্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাপিং (জিএফএম) প্রযুক্তি এনেছে নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরি (জেপিএল)। সেই প্রযুক্তি বলছে, ২১০০ সালে সমুদ্রতল উঠে আসবে ০.৫১ মিটার থেকে ১.৩১ মিটার। তার ফলে জলের অতলে তলিয়ে যাবে লন্ডন শহর।
যে দ্রুত হারে হিমবাহ আর দুই মেরুর বরফ গলছে, তাতে নাসার জোর আশঙ্কা, ১০০ বছর পর সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাবে জাপানের রাজধানী শহর টোকিও।