পারসিড উল্কাবৃষ্টি। -ফাইল ছবি।
উত্তর আকাশে আলোর ঝরনাধারা। খালি চোখেই দেখা যাবে মধ্যরাতের পর থেকে ভোররাত শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত। বুধ থেকে একটানা শুক্রবার। ভারত-সহ গোটা উত্তর গোলার্ধে। বর্ষার ঘন মেঘে আকাশের মুখ ঢাকা না থাকলে।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, প্রতি বছরের মতো এ বারও উজ্জ্বলতম উল্কাবৃষ্টি পারসিড মেটিওর শাওয়ার উত্তর গোলার্ধে শুরু হয়েছিল প্রায় সপ্তাহ তিনেক আগে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় উল্কাপাত হবে ১১, ১২ এবং ১৩ অগস্ট। ওই সময় ঘণ্টায় গড়ে ১৫ থেকে ২০০টি উল্কাপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ‘আর্থস্কাই ডট ওআরজি’-র তরফে জানানো হয়েছে ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যায়, অন্তত ৬০টি উল্কাপাতের সম্ভাবনা যথেষ্টই জোরালো।
নাসা জানাচ্ছে, মধ্যরাতের পর থেকেই আকাশের উত্তরে একটু উপরের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে এই পারসিড উল্কাবৃষ্টি। তবে শহর থেকে একটু দূরে, মফস্সল বা গ্রামাঞ্চলের আকাশে উল্কাবৃষ্টি চোখে পড়বে বেশি। ভোররাত শেষ হওয়ার প্রাক-মুহূর্তই এই উল্কাবৃষ্টি চাক্ষুষ করার সেরা সময়।
শুক্রবারের পরেও টানা ১০ দিন ধরে মধ্যরাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত উত্তর আকাশে দেখা যাবে উজ্জ্বলতম পারসিড উল্কাবৃষ্টি। তবে সেই সময় উল্কাবৃষ্টির উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
ফিবছরই এই উল্কাবৃষ্টি হয় ধূমকেতু ১০৯পি/সুইফ্ট-টাটলের দেহের ছিটকে আসা অংশবিশেষ থেকে। প্রদক্ষিণের সময় সূর্যের টানেই ছিটকে আসে ধূমকেতুর সেই সব অংশ। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এই ধূমকেতুর সময় লাগে ১৩৩ বছর। ১৮৬২ সালে প্রথম এর হদিশ পান বিজ্ঞানীরা। যে গ্রহাণু আছড়ে পড়ায় কোটি কোটি বছর আগে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়েছিল ডাইনোসররা, তার দ্বিগুণ আকারের এই ধূমকেতুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসেছিল আজ থেকে ২৯ বছর আগে। ১৯৯২ সালে।