প্রতীকী ছবি।
মানুষের মস্তিষ্ক যে জঙ্গিপনা পছন্দ করে, তা কিন্তু নয়। বরং জঙ্গিপনায় অভ্যস্ত যাঁরা, তাঁদের মস্তিষ্ক তেমন জটিল কাজগুলি করতে পারে না। খুলতে পারে না জটিল সমস্যার জট।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এ কথা জানিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান-গবেষণা পত্রিকা ‘ফিলোজফিক্যাল ট্রানজাকশন্স অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি’-তে।
তা সে জাতীয়তাবাদী হোক বা আম্তর্জাতিক, অথবা কোনও গোঁড়ামি, কোন মতাদর্শে আমরা বিশ্বাস করব, গবেষকরা দেখেছেন মস্তিষ্কই তা মোটামুটি ভাবে নির্ধারণ করে দেয়। যাতে মস্তিষ্ক তার কাজকর্মগুলি স্বাভাবিক ভাবে করে যেতে পারে, সে জন্য বিশেষ ধরনের সিগন্যালিং ব্যবস্থাও রয়েছে মানুষের মস্তিষ্কে। তা বয়স, লিঙ্গ, জাতপাতের উপর নির্ভর করে না।
দু’সপ্তাহ ধরে আমেরিকার ৩৩০ জন মানুষের উপর গবেষকরা চালিয়েছিলেন পরীক্ষা। তাঁদের বয়স ছিল ২২ থেকে ৬৩ বছরের মধ্যে। তাঁদের ৩৭টি স্নায়ুমনস্তাত্ত্বিক (নিউরোসাইকোলজিক্যাল) কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল। ২২টি ‘পারসোনালিটি সার্ভে’ হয়েছিল তাঁদের। তার ভিত্তিতেই এসেছে গবেষণার ফলাফল।
গবেষকরা দেখেছেন, জঙ্গিপনায় অভ্যস্তদের মস্তিষ্ক যে শুধুই জটিল কাজগুলি করতে অক্ষম হয় তা-ই নয়; তাদের মস্তিষ্ক সাদা আর কালো ছাড়া কোনও রংই চিনতে পারে না। তাঁরা শুধুই দু’টি চরম দিক বোঝেন। মাঝামাঝিও যে কিছু থাকতে পারে তাঁদের মস্তিষ্ক সেটা বুঝতেই চায় না।