এমআরএনএ কোভিড টিকা ভারতেই বানানো হবে। -ফাইল ছবি।
এমআরএনএ পদ্ধতির ব্যবহার করে এ বার ভারতেই বানানো সম্ভব হবে কোভিডের সবচেয়ে শক্তিশালী টিকা। যে পদ্ধতিতে কোভিড টিকা বানিয়ে সফল হয়েছে আমেরিকার দু’টি ওষুধ সংস্থা ‘ফাইজার’ ও ‘মডার্না’।
এই পদ্ধতিতে টিকা বানানোর প্রযুক্তি সরবরাহ করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (‘হু’) বিভিন্ন দেশের যে সংস্থাগুলিকে বেছে নিয়েছে, তাদের অন্যতম হায়দরাবাদের সংস্থা ‘বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেড’ (বিই)। সোমবার হায়দরাবাদের সংস্থাটির তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে ‘কর্বেভ্যাক্স’-সহ বহু জীবনদায়ী ওষুধ ও টিকা তৈরি করে এই সংস্থাটি।
বিই-র তরফে জানানো হয়েছে, হু-র টিকা তৈরির উপদেষ্টা কমিটি (এসিপিডিভি) ভারতে এমআরএনএ প্রযুক্তিতে টিকা তৈরির জন্য সংস্থার কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবে। সেই টিকা তৈরির প্রযুক্তি সরবরাহ করবে। সেই টিকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণাগার তৈরির যাবতীয় মালমশলাও সরবরাহ করবে। এই টিকা কী ভাবে দেওয়া যায় ভারতে তার রোডম্যাপও তৈরি করে দিতে হায়দরাবাদের সংস্থাটিকে সাহায্য করবে হু-র ওই উপদেষ্টা কমিটি। এ ব্যাপারে ভারত সরকারের তরফে যা যা করা প্রয়োজন তা করা হবে বলে দিল্লির তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এমআরএনএ প্রযুক্তি বলতে কী বোঝায়?
ফাইজার ও মডার্না-র বানানো এমআরএনএ কোভিড টিকায় মানবদেহের মেসেঞ্জার আরএনএ-কে ব্যবহার করা হয়। সেই মেসেঞ্জার আরএনএ বানানো হয় গবেষণাগারে। টিকার মাধ্যমে সেই মেসেঞ্জার আরএনএ-কে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মানবদেহে, যাতে তা মানবকোষগুলিকে বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন তৈরি করা শেখাতে পারে।
যে প্রোটিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর জন্য দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে গ়়ড়ে তুলতে পারে। এখনও পর্যন্ত ভারতে এই প্রযুক্তিতে কোনও কোভি়ড টিকা বানানো হয়নি। তবে এই ধরনের টিকার কার্যকারিতা অন্য টিকাগুলির চেয়ে বেশি প্রমাণিত হওয়ায় ভারতের বিভিন্ন সংস্থা এমআরএনএ প্রযুক্তিতে টিকা বানানোর জন্য হু-র অনুমোদন চেয়েছিল। তারই মধ্যে প্রাথমিক ভাবে তারা হায়দরাবাদের সংস্থাটিকে বেছে নিয়েছে বলে হু-র ওই উপদেষ্টা কমিটির তরফে জানানো হয়েছে।