COVID 19

Covid Vaccines: গরমে, আর্দ্রতায় আর নষ্ট হবে না, উদ্ভিদ, ব্যাক্টেরিয়া থেকে অভিনব কোভিড টিকার উদ্ভাবন

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘জার্নাল অব দ্য আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি’-ত‌ে। মঙ্গলবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:১৯
Share:

-ফাইল ছবি।

না, আর ফ্রিজে রাখতে হবে না কোভিড টিকা। রাখতে হবে না শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরেও। গা পোড়ানো রোদে, চরম আর্দ্রতায়, ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতেও দিব্যি থেকে যাবে সেই কোভিড টিকা। ফলে, ঠান্ডায় না রাখতে পারলে কোভিড টিকা নষ্ট হয়ে যাবে, এই ভয় আর পেতে হবে না।

সান দিয়েগোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বানিয়েছেন এমন কোভিড টিকা। একটি নয়, দু’টি।

তাঁরা একটি কোভিড টিকা বানিয়েছেন উদ্ভিদের একটি ভাইরাস নিয়ে। অন্যটি বানানো হয়েছে ব্যাক্টেরিয়ার দেহে থাকা একটি ভাইরাস দিয়ে।

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘জার্নাল অব দ্য আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি’-ত‌ে। মঙ্গলবার।

নতুন দুটি কোভিড টিকাই সফল হয়েছে ইঁদুরের উপর প্রয়োগে। দুটি টিকাই ইঁদুরের দেহে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসকে অকেজো করে দিতে পারে এমন অ্যান্টিবডি প্রচুর পরিমাণে তৈরি করেছে। তবে মানুষের উপর এখনও সেগুলি পরীক্ষা করা হয়নি। গবেষকরা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই শুরু হবে দুটি কোভিড টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ জানাচ্ছেন, মানুষের উপর পরীক্ষা সফল হলে এই দুটি কোভিড টিকা পথপ্রদর্শক হয়ে উঠবে। কারণ, বেশি তাপমাত্রায় নষ্ট হয়ে যায়, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সময় ঠান্ডায় রাখা সম্ভব হয় না বলে কোভিড টিকা প্রচুর পরিমাণে নষ্ট হচ্ছে। ফলে, অনেকেই টিকা পাচ্ছেন না।

উদ্ভিদের যে ভাইরাসটি দিয়ে একটি কোভিড টিকা বানানো হয়েছে তার নাম- ‘কাউপি মোজেইক ভাইরাস’। আর ব্যাক্টেরিয়ার দেহে থাকা যে ভাইরাসটি দিয়ে একটি কোভিড টিকা বানানো হয়েছে সেই ভাইরাসের নাম- ‘ব্যাক্টেরিয়োফাজ’ বা ‘কিউ বিটা’।

গবেষকরা বলের মতো দেখতে বিশেষ ধরনের যৌগের একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা (ন্যানো পার্টিকল) বানিয়েছেন। তার মধ্যে পুরে দেন উদ্ভিদের কাউপি মোজেইক ভাইরাস আর ব্যাক্টেরিয়ার কিউ বিটা ভাইরাসকে। তার পর তাদের দ্রুত বংশবৃদ্ধি করার সুযোগ দেন। যাতে দুটি ভাইরাসই বংশবৃদ্ধি করে খুব অল্প সময়ে সংখ্যায় লক্ষ লক্ষ হয়ে ওঠে। তার পর ওই ন্যানো পার্টিকলের বাইরের স্তরে লাগিয়ে দেওয়া হয় সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন। যাতে ন্যানো পার্টিকলের ভিতরে থাকা ভাইরাসগুলি এদের চিনতে পারে।

এই পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা এই ভাবে দুটি কোভিড টিকা বানানোর খরচ খুবই কম। কারণ, উদ্ভিদটিকে খুব সহজেই কার্যত নিখরচায় জন্মানো যায় প্রায় সর্বত্রই, যে কোনও পরিবেশে। আর ব্যাক্টেরিয়ার সংশ্লেষণও খুব পরিচিত পদ্ধতি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement