Smart Band

শুধু কতটা হেঁটেছেন নয়, এ বার আবেগেও নজরদারি চালাবে স্মার্ট ব্যান্ড...

নতুন ওই রিস্টব্যান্ড নিয়েই পরীক্ষা করছেন ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা। মানুষের আবেগের উপর নজরদারি করার জন্য তাঁরা উন্নত প্রযুক্তির এক রিস্ট ব্যান্ড বানিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯ ১০:০০
Share:

স্মার্ট ব্যান্ড। ছবি- সংগ্রহীত।

বাজারে স্মার্ট রিস্টব্যান্ড এসেছে অনেক দিন হয়েছে। এই রিস্টব্যান্ড জানিয়ে দেয়— আপনি ক’পা হাঁটলেন, কতটা ক্যলোরি ঝরালেন কিংবা আপনার হার্টবিট এই মুহূর্তে কত। কিন্তু এমনটা কি কখনও ভেবেছেন যে, ওই রিস্টব্যান্ডই আপনার আবেগের উপরও নজরদারি রাখতে সাহায্য করবে? বা মুড বদল হলে আপনাকে জানান দেবে? হ্যাঁ, সে দিন আর বেশি দূরে নেই। এমনই নতুন রিস্টব্যান্ড বাজারে আনতে আপাতত গবেষণা চলছে। কিছু দিনের মধ্যেই তা সাফল্যের মুখ দেখবে।

Advertisement

নতুন ওই রিস্টব্যান্ড নিয়েই পরীক্ষা করছেন ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা। মানুষের আবেগের উপর নজরদারি করার জন্য তাঁরা উন্নত প্রযুক্তির এক রিস্ট ব্যান্ড বানিয়েছেন। শরীরের তাপমাত্রায় বদল এলে ওই ব্যান্ডের রংও পরিবর্তিত হবে। যদি আপনার মুড বদলে যায়, তবে ব্যান্ডটি ভাইব্রেট করবে। নতুন এই প্রযুক্তির ব্যান্ডটি তৈরি করা হয়েছে মূলত সে সমস্ত মানুষদের জন্য যারা মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ এবং বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছেন।

ব্রিটেনের ল্যাঙ্কেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মহম্মদ উমর বলেছেন, “আমাদের কারও পক্ষেই সব সময় মানসিক অবস্থান কিংবা মানসিক আবেগ-অবসাদ সম্পর্কে জানা এবং সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা একদমই সহজ নয়। অনেকেই এই অবস্থায় নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।” উমরের দাবি, সেই সব ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী হবে এই রিস্টব্যান্ড।

Advertisement

আরও পড়ুন:আপনার পাসওয়ার্ড কি হ্যাক হয়েছে? জানা যাবে এই গুগল টুলের মাধ্যমে

গবেষকরা একটি থার্মোক্রোমিক পদার্থ নিয়ে কাজ করছেন যা শরীরের তাপমাত্রা অনুযায়ী রং পরিবর্তন করে এবং কব্জিতে ভাইব্রেট কিংবা স্কুইজ করে। নতুন এই রিস্টব্যান্ডটি মানবদেহের যে কোনও রকম উত্তেজনার পরিবর্তন হলে গ্যাল্ভাটিক এনার্জি দ্বারা নির্ণয় ও পরিমাপ করবে। রিস্ট ব্যান্ডে সেটাই দেখা যাবে।

তারা তাদের এই নতুন আবিষ্কার কতটা সফল হয়েছে বা ভবিষ্যতে কতটা কার্যকরী হবে তা জানার জন্য বিভিন্ন রকম পরীক্ষা করছেন। এই পরীক্ষারই একটি অংশ হিসেবে গবেষকেরা কিছু মানুষের হাতে এই রিস্টব্যান্ডটি ৮-১৬ ঘণ্টার জন্য পরিয়ে তাদেরকে দৈনিক কাজকর্ম যেমন— খেলাধুলো, সাঁতার, কথাবার্তা, সিনেমা দেখা, হাসি-কান্না, ভয় পাওয়া সমস্ত কিছুই পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওই ব্যান্ড ব্যবহার করার দু’দিনের মধ্যেই ব্যবহারকারীরা তাদের এই মানসিক পরিবর্তন বুঝতে সক্ষম হচ্ছেন।

তবে এই অভিনব আবিষ্কার বাজারে কবে আসবে কিংবা তা কেমন দেখতে সে সম্পর্কে এখনও কিছুই জানাননি গবেষকেরা।

আরও পড়ুন:আপনার ওয়াই-ফাই কানেকশন নিরাপদ রাখতে জেনে নিন কিছু টিপস্‌

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement