coronavirus

New Coronavirus Variant: নিজেকে বদলাতে পারে অস্বাভাবিক হারে, দক্ষিণ আফ্রিকায় মিলল করোনার আরও একটি রূপ

আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেব্‌ল ডিজিজেস’-এর তরফে সোমবার এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:৩৮
Share:

মানবশরীরে ঢোকার পর ভাইরাসের দেহাংশ এই ভাবে ভেঙে যায় তার দ্রুত বংশবৃদ্ধির জন্য। -ফাইল ছবি।

করোনাভাইরাসের আরও একটি নতুন রূপ (‘ভেরিয়্যান্ট’)-এর হদিশ মিলল দক্ষিণ আফ্রিকায়। শুঁড়ের মতো দেখতে নিজের স্পাইক প্রোটিনগুলিকে অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে বার বার বদলে ফেলতে পারে করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপটি। ডেল্টা-সহ অন্য রূপগুলির এই নিজেকে বদলে ফেলার হারের অন্তত দ্বিগুণ গতি দেখা গিয়েছে এই নতুন রূপে।

Advertisement

ফলে, মানবশরীরে থাকা শত্রু প্রতিরোধী অ্যান্টিবডিগুলিকে এই নতুন রূপটি ধোঁকা দিতে পারে আরও বেশি দক্ষতার সঙ্গে। তাই আরও দ্রুত সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।

আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেব্‌ল ডিজিজেস (এনআইসিডি)’-এর তরফে সোমবার এ কথা জানানো হয়েছে। এও জানানো হয়েছে, মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এই রূপটির হদিশ মেলার পর গত ৩-৪ মাসে ভাইরাসের এই রূপটি থেকে সংক্রমণের হার ধীরে ধীরে বাড়তে দেখা গিয়েছে। নতুন রূপটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সি.১.২’।

Advertisement

করোনাভাইরাসের এই রূপের চেহারা ও চরিত্রের বিশেষত্ব এবং তার থেকে সংক্রমণের হার কতটা, তার উপর একটি গবেষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যান্ড সিকোয়েন্সিং প্ল্যাটফর্ম। গত সপ্তাহে সেই গবেষণাপত্রটি পৌঁছেছে একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকার পিয়ার রিভিউয়ারদের হাতে।

ভারতে করোনাভাইরাসের যে ডেল্টা রূপের প্রথম সন্ধান মিলেছিল এ বছরের গোড়ার দিকে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন সেই রূপের দৌলতেই সংক্রমণ ঘটছে সবচেয়ে বেশি। তবু তারই মধ্যে এই নতুন রূপটির নিজের স্পাইক প্রোটিনকে অস্বাভাবিক দ্রুত হারে বদলে ফেলার ক্ষমতা বিজ্ঞানীদের নজর কেড়েছে বলে এআইসিডি-র তরফে জানানো হয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, গত মে মাসে প্রথম হদিশ মেলার পর থেকে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা রোগীদের যে পরিমাণ জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে তার মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ রোগীকে এই নতুন রূপে আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে। যদিও আগে এই রূপটি থেকে সংক্রমণের হার যা ছিল (০.২ শতাংশ) তা কিন্তু অগস্টে একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। হয়েছে ২ শতাংশ।

এআইসিডি-র গবেষক পেনি মুর সোমবার একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, “করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপটি মানব শরীরের অ্যান্টিবডিগুলিকে কতটা বেশি ধোঁকা দিতে পারে সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি, পরীক্ষালব্ধ পর্যাপ্ত তথ্যাদির অভাবে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন যে কোভিড টিকাগুলি দেওয়া হচ্ছে সেগুলি এই রূপের সংক্রমণকে ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছতে দেবে না, রোগীর মৃত্যু ডেকে আনবে না, এমন আস্থা আমাদের রয়েছে এখনও পর্যন্ত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement