nasa

Space Telescope: ১৫ লক্ষ কিমি পাড়ি মহাকাশ দূরবিনের

এমসিসি-১এ, এমসিসি-১বি, এমসিসি-২। তাতেই ‘দ্বিতীয় ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট (এল২)’ নামে বিশেষ একটি কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়া হবে জেমস ওয়েবকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

রওনা দিয়েছিলে গত বড় দিনে। এক মাসে পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে পৌঁছে গেল মহাকাশ-দূরবিন জেমস ওয়েব। গন্তব্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে সে। এ বার সন্তর্পণে ছোটখাটো তিনটি মোচড় (মিড-কোর্স কারেকশনস বা এমসিসি) দিতে হবে তার চলনে। এমসিসি-১এ, এমসিসি-১বি, এমসিসি-২। তাতেই ‘দ্বিতীয় ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট (এল২)’ নামে বিশেষ একটি কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়া হবে জেমস ওয়েবকে। যেখান থেকে সে ইনফ্রারেড রশ্মি পর্যবেক্ষণ করবে। জানার চেষ্টা করবে বিগ ব্যাং-এর সময়ের, অর্থাৎ এই মহাবিশ্বের জন্মলগ্নের কথা।

Advertisement

কাজটি সহজ নয়। ইনফ্রারেড তথা অবলোহিত রশ্মি কার্যত তাপরশ্মি। ফলে নিজেকে ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে জেমস ওয়েবকে। ফ্রেঞ্চ গিয়ানায় ইউরোপের মহাকাশ বন্দর থেকে এরিয়ান-৫ রকেটে চেপে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে গরম হয়ে রয়েছে দূরবিনটি। সেটিকে প্রথমে ঠান্ডা করতে হবে। এর পর সূর্যের তাপ থেকে বাঁচাতে হবে এটিকে।

এ ক্ষেত্রে কৌশলটি হল, জেমস ওয়েব এমন ভাবে সূর্যকে পাক খাবে যাতে সব সময়েই পৃথিবী ও চাঁদ থাকে মাঝে। এ ভাবে পৃথিবীর অন্ধকার পাশে থেকে সূর্য থেকে লুকিয়ে চলবে জেমস ওয়েবের পরিক্রমা। এতে সেটি মহাকাশের গভীর থেকে আসা তাপ রশ্মি ধরতে পারবে নিখুঁত ভাবে। সূর্য-পৃথিবী-চাঁদ তিনটি ভারী বস্তুকে এক দিকে ও এক রেখায় রেখে চললে দূরবিনটির উপরে মহাকর্ষ আকর্ষণ ও সেটির বাইরের দিকে ছিটকে যাওয়ার বলের মধ্যে ভারসাম্য থাকবে। জ্বালানি খরচও অনেক কম হবে তাতে।

Advertisement

আমাদের কাছাকাছি বেশ কয়েকটি ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট রয়েছে। এল-১ রয়েছে পৃথিবী থেকে সূর্যের দিকে, এটিও ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে। সেখানে অনেকগুলি দূরবিন রয়েছে সূর্যের মতিগতি বোঝার জন্য। কক্ষপথ হিসেবে এল-৪ ও এল-৫ স্থিতিশীল হলেও জেমস ওয়েবের জন্য এল-২-ই আদর্শ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement