Science News

ভিনগ্রহীরা পৃথিবী ঘুরে গিয়েছে, আমরাই দেখতে পাইনি, বললেন নাসার বিজ্ঞানী

ভিনগ্রহীদের সম্পর্কে আমাদের ধ্যানধারণায় গলদ রয়েছে। আমরা মহাকাশের এই মুলুকে, ওই মুলুকে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। যাচ্ছি। অথচ, ভিনগ্রহীরাও যে এই ব্রহ্মাণ্ডে ঘুরে বেড়াতে পারে বা তাদের সেই ভ্রমণ যে আমাদেরও আগে শুরু হয়ে থাকতে পারে, এটা আমরা মাথায় রাখছি না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি.

ভিনগ্রহীরা ইতিমধ্যেই এসে পৃথিবী ঘুরে গিয়েছে? আমরাই ওদের দেখতে পাইনি? এমনটাই দাবি করলেন নাসার এক বিজ্ঞানী সিলভানো পি কলম্বানো। তাঁর হালের গবেষণাপত্রে।

Advertisement

কেন দেখতে পাইনি, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নাসার এইমস রিসার্চ সেন্টারের কম্পিউটার বিজ্ঞানী কলম্বানো বলেছেন, “ভিনগ্রহীদের যে ছবি আমরা এত দিন ভেবেছি, এঁকেছি, সেই সবের সঙ্গে ভিনগ্রহীদের চেহারা মেলে না বলে।‘’ কলম্বানোর বক্তব্য, ভিনগ্রহীদের শরীরটা যেন কোনও কার্বন যোগ দিয়ে গড়া বলে আমরা ভেবে এসেছি। হয়তো তা আদৌ নয়। তাই পৃথিবী ঘুরে গেলেও আমরা ভিনগ্রহীদের দেখতে পাইনি।

ওই গবেষণাপত্রে কলম্বানো লিখেছেন, “ভিনগ্রহীদের সম্পর্কে আমাদের ধ্যানধারণায় গলদ রয়েছে। আমরা মহাকাশের এই মুলুকে, ওই মুলুকে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। যাচ্ছি। অথচ, ভিনগ্রহীরাও যে এই ব্রহ্মাণ্ডে ঘুরে বেড়াতে পারে বা তাদের সেই ভ্রমণ যে আমাদেরও আগে শুরু হয়ে থাকতে পারে, এটা আমরা মাথায় রাখছি না।‘’

Advertisement

পৃথিবী ঘুরে গেলেও ভিনগ্রহীরা যে এখনও পড়েনি আমাদের নজরে, তার আরও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন কলম্বানো। বলেছেন, “ওরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান (সুপার ইন্টেলিজেন্ট) আর চেহারায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হতে পারে। তাই হয়তো আমাদের চোখে পড়েনি। ভিনগ্রহীদের দেখার মতো কোনও প্রযুক্তিই হয়তো এখনও পর্যন্ত আসেনি আমাদের হাতে।‘’

আরও পড়ুন- স্পেস স্টেশনের বাইরে মিলল ব্যাকটিরিয়া, দাবি ভিনগ্রহী বলে​

আরও পড়ুন- ভিনগ্রহীদের ঘাঁটাতে যাবেন না, হকিংয়ের সতর্কবাণী​

কতটা পিছিয়ে রয়েছি আমরা প্রযুক্তিতে, তা বোঝাতে গিয়ে কলম্বানো বলেছেন, “মানবসভ্যতার প্রযুক্তির বয়স তো সবে ১০ হাজার বছর। আর যত সব বিজ্ঞানের আবিষ্কার, সেই সবই তো ৫০০ বছরের বেশি পুরনো নয়। তার চেয়ে অনেক অনেক উন্নত প্রযুক্তি থাকতে পারে ভিনগ্রহীদের হাতে, যা দিয়ে তারা আমাদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।‘’

ভিনগ্রহীদের দেখতে পাওয়ার আগে তাদের সম্পর্কে আমাদের এতাবৎ ধারণাটাই আমূল বদলে ফেলা দরকার বলে তাঁর গবেষণাপত্রের শেষে লিখেছেন কলম্বানো।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement