প্রতীকী ছবি।
সভ্যতার জন্মলগ্ন থেকে যুগ যুগ ধরে যে ভাইরাসের হানাদারিতে কাবু হতে হয়েছে ও হচ্ছে শিশুদের, তার হাত থেকে কি এ বার তাদের কিছুটা মুক্তির দিন এসে গেল?
সেই ভাইরাসের ঠিক কোন অংশটা শিশুদের ভোগান্তির কারণ হচ্ছে, এই প্রথম একটি গবেষণায় তার হদিশ মেলায় তার ওষুধ বা টিকা বেরনোর সম্ভাবনার দরজাটা অনেকটাই খুলে গেল। এমনটাই মনে করছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা।
শিশুদের জ্বালাতন করা, অসম্ভব ভোগান্তির মূল চক্রী সেই ভাইরাসের নাম- ‘রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস’ বা, ‘আরএসভি’। গবেষণায় এই প্রথম জানা গিয়েছে, ওই ভাইরাসের শরীরে থাকা একটি প্রোটিনের একটি অংশই জন্মের পর শিশুদের যাবতীয় ভোগান্তির প্রধান কারণ।
ওই ভাইরাসের হানায় শিশুদের যে রোগটি হয়, তার নাম- ব্রঙ্কিওলাইটিস। গোটা বিশ্বে বছরে গড়ে যত শিশুর (১৩ কোটি) জন্ম হয়, তার অর্ধেকই (সাড়ে ৬ কোটি) আক্রান্ত হয় এই ভাইরাসের হানাদারিতে।
‘রেসপিরেটরি সেনসিশিয়াল ভাইরাস’ বা আরএসভি
জন্মের পর এই রোগ আকছার হয় শিশুদের। এ দেশে, বিদেশেও। অক্টোবর থেকে মার্চ/এপ্রিল পর্যন্ত। কাকে বলে জীবন যন্ত্রণা, সর্দি, খুকখুকে কাশি আর অল্প সময়ের গা পোড়ানো জ্বরে তা টের পেতে শুরু করে দেয় শিশুরা। মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে আসার ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই। কখনও বা তা জন্মের ১ মাসের মধ্যেই টের পেয়ে যায় শিশুরা। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা থাকে শিশুদের।
দেহের প্রতিরোধী ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) তেমন জোরদার না হলে বা পুষ্টির অভাব থাকলে বা হার্ট, ফুসফুসের গঠনে জন্মগত ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলে যে ভাইরাসের হামলায় মৃত্যুও হতে পারে শিশুদের। নিউমোনিয়ায় ভুগে।
সেই ভাইরাসকে রোখা বা বধ করার মতো কোনও হাতিয়ারই ছিল না এত দিন আমাদের হাতে। ভারতে তো নয়ই, তেমন ভাবে ছিল না বিদেশেও। হালের গবেষণা সেই ভাইরাসকে কাবু করার হাতিয়ার বানানোর রাস্তাটা খুলে দিল, এমনটাই মনে করছেন শিশুরোগ ও প্রতিষেধক (টিকা) বিশেষজ্ঞরা। তা হতে পারে কোনও ওষুধ বা ইঞ্জেকশন। হতে পারে কোনও টিকাও।
গবেষণাপত্রটির শিরোনাম- ‘স্ট্রাকচারাল বেসিস ফর হিউম্যান রেসপিরেটরি সিনশিশিয়াল ভাইরাস এনএস-ওয়ান-মেডিয়েটেড মডুলেশন অফ হোস্ট রেসপন্সেস’। ছাপা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার-মাইক্রোবায়োলজি’র ৩০ জুন সংখ্যায়।
যে গবেষণাপত্রটির তিন লিড অথর বা মূল গবেষকের অন্যতম এক বাঙালি মহিলা সেন্ট লুইয়ের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিনের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো শ্রীরূপা চট্টোপাধ্যায়। আরও দুই মূল গবেষক ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর শ্রীলঙ্কার গয়া কে অমরাসিংহে ও ডেইজি । ওই আন্তর্জাতিক গবেষক দলে রয়েছেন আরও চার জন ভারতীয়। প্রিয়া লুথরা, পরমেশ্বর রামানন, অনুরাধা মিত্তল ও রোহিত ভি পাপ্পু।
আরও পড়ুন- গবেষণা বলছে, কেমো বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্যানসার, সত্যিই তাই?
এই ভাইরাসের জ্বালায় জ্বলতে হয় ৬০ পেরনোর পরেও। তবু এখনও সস্তায়, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে আরএসভি ঠেকানোর জন্য টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি বিশ্বের কোনও দেশেই। ব্রিটেন, আমেরিকায় প্যালিবিজুম্যাব নামে একটি টিকা ২০ বছর হল চালু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটাও দেওয়া হয় একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে। দাম অসম্ভব বেশি বলে তা সাধারণের ধরা-ছোঁয়ারও বাইরে। ভারত তা আসেওনি। তার চেয়েও বড় কথা, শিশুদের এই রোগ ধরার প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি এখনও ভারতে সে ভাবে ব্যবহৃত হয় না। তবে এই ভাইরাস প্রাণহানির চেয়ে শিশুদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় বেশি। তাই বিশ্বে বছরে গড়ে সাড়ে ৬ কোটি শিশু আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর হার ১৬ থেকে ২৫ হাজার।
কেন ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ারটা আমরা বানাতে পারিনি?
আনন্দবাজারের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল অন্যতম দুই মূল গবেষক শ্রীরূপা চট্টোপাধ্যায় ও গয়া অমরস়িংহের সঙ্গে। সেন্ট লুই থেকে পাঠানো ই-মেল জবাবে শ্রীরূপা ও গয়া লিখেছেন, ‘‘নিরাকার ব্রহ্মকে যে বোঝা ভারী মুশকিল! এই ভাইরাস এতটাই ছোট যে, তাকে সাধারণ অনুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখাই যায়নি বহু দিন। বহু কায়দা, কসরত করে এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফির মাধ্যমে শেষমেশ যদিও বা ধরা দিয়েছিল সেই ভাইরাস, কিন্তু জানা যায়নি, কেন সেই ভাইরাসটা এতটা অপ্রতিরোধ্য। আমরাই প্রথম দেখাতে পেরেছি, সেই ভাইরাসের চেহারাটা ঠিক কেমন। এও জানতে পেরেছি, সেই ভাইরাসের শরীরে থাকা একটি প্রোটিনের একাংশই (আলফা থ্রি হেলিক্স) ওই হামলার মূল চক্রী।এরাই শিশুর দেহের গোটা প্রতিরোধী ব্যবস্থাটাকেই ভেঙেচুরে তছনছ করে দিচ্ছে। দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতার ‘বাস্তিল দুর্গ’-এর পতন ঘটাচ্ছে।’’
আরএসভি (লাল) ছড়ানোর পর শ্বাসনালীর ভেতরের অংশ, অনুবীক্ষণের নীচে। সৌজন্যে: ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিন
এই আরএসভি’র চেহারার প্রথম আভাস পেয়েছিল একটি আন্তর্জাতিক গবেষকদল, ২০১৩-য়। কিন্তু সেটা শুধুমাত্র আভাসই! জানা যায়নি, সেই ভাইরাসের শরীরে থাকা কোন জিনিসটি বা তার শরীরের কোন ‘অঙ্গ’টি জন্মের পর শিশুদের দেহের প্রতিরোধী ব্যবস্থাটাকে ভেঙেচুরে তছনছ করে দিচ্ছে। এটাও আগে জানা যায়নি, সেই ভাইরাসের শক্তি-সামর্থ কতটা। তা কি প্রতিরোধী ব্যবস্থাটাকে আংশিক তছনছ করে নাকি পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়।
গবেষণাটি কতটা অভিনব?
কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, প্রতিষেধক বিশেষজ্ঞ জয়দীপ চৌধুরীর কথায়, ‘‘এটা সত্যিই একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ, ভাইরাসের চেহারা জানা যায়নি বলে এত দিন সব শিশুর জন্য প্রাথমিক স্তরে ব্যবহার করা যায়, এমন কোনও ওষুধ, ইঞ্জেকশন বা টিকা আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। নাকে স্প্রে করার মাধ্যমে টিকা দেওয়ার চেষ্টা অতীতে ব্যর্থ হয়েছে। এখনও তিনটি আলাদা টিকা বের করার জন্য নাসাল স্প্রে পদ্ধতির পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। চলছে আরএসভি’র ডিএনএ ক্লোন (ভাইরাসের প্রতিচ্ছবি) করে টিকা বানানোর চেষ্টা। কিন্তু কোনওটাই এখনও পর্যন্ত তেমন ফলপ্রসূ, কার্যকরী হয়নি।’’
ছয়ের দশকের গোড়ার দিক থেকেই আরএসভি রোখার টিকা বানানোর উদ্যোগ শুরু হয় জোর কদমে। ছয়ের দশকেই একটি টিকা চালু হয়েছিল আমেরিকায়। কিন্তু তা দেওয়ার পর দু’টি শিশুর মৃত্যু হওয়ায় তা বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়।
এর পর শুরু হয় ভাইরাসের দেহের একটি অংশকে দুর্বল করে সেটাকেই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেহে ঢুকিয়ে শিশুদের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে সচেতন করে তোলার পরীক্ষানিরীক্ষা। এই পদ্ধতিকে বলা হয়, ‘লাইভ অ্যাটেনিউয়েটেড ভ্যাক্সিনেশন’। টিকারই আরেকটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ভাইরাসের দুর্বল করে দেওয়া অংশটিকে একটি রাসায়নিক দ্রবণে রেখে তাকে স্প্রে করে নাক দিয়ে শিশুদের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। যেহেতু দুর্বল আর তা গোটা ভাইরাস নয়, তার দেহের একটি অংশ, তাই শরীরে ঢুকে তা কোনও সংক্রমণ ছড়াতে পারে না। কিন্তু দেহের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে সজাগ, সতর্ক করে তাকে লড়ার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি করে নিতে সাহায্য করে। যেন প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে, ‘এই ভাইরাসটা শরীরে ঢুকলে ক্ষতি করবে। একে চিনে রাখো। এর হামলার জন্য নিজেকে তৈরি রাখো।’ আরএসভি রুখতে এমন অন্তত তিন রকমের টিকা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে ৩০ বছর ধরে। আর সে সবের ট্রায়াল চালানো হচ্ছে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ওপর।
কেন প্রত্যাশামাফিক সাফল্য পায়নি ওই সব পরীক্ষানিরীক্ষা?
রাজ্যের একটি বেসরকারি হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ উর্মিলা পিল্লাই রায় বলছেন, ‘‘প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে শত্রু চেনানোর কাজটার মধ্যেই খামতি থেকে গিয়েছে। শত্রুকে চেনানোর চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু সেই শত্রুর কোন হাতে ‘ছুরি’টা ধরা আছে, সেটাই প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে জানানো সম্ভব হয়নি ভাইরাসের চেহারাটা এত দিন চেনা, জানা, বোঝা সম্ভব হয়নি বলে। নতুন গবেষণার অভিনবত্ব এটাই যে, গবেষকরা সেটা জানতে পেরেছেন। দেখাতে পেরেছেন ভাইরাসের শরীরের ঠিক কোন অংশটা প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে ভেঙেচুরে দিচ্ছে। ফলে, ভাইরাসের ঠিক সেই অংশটাকে টার্গেট করে ওষুধ, ইঞ্জেকশন বা টিকা বানানোর রাস্তাটা খুলে দিল এই গবেষণা। এ বার প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে জানিয়ে দেওয়া যাবে, ভাইরাসের কোন হাতে ‘ছুরি’টা ধরা আছে।’’
তিন মুল গবেষক। (বাঁ দিক থেকে) শ্রীরূপা চট্টোপাধ্যায়, গয়া কে অমরাসিহে ও ডেইজি লিইউঙ।
যে কোনও রোগ, যে কোনও ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার হামলা রোখার জন্য দেহের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে দু’ভাবে গড়ে তোলা হয়। একটি হল অ্যাক্টিভ ইমিউনিটি। অন্যটি প্যাসিভ ইমিউনিটি।
অ্যাক্টিভ ইমিউনিটিতে দেহের প্রতিরোধী ব্যবস্থার ‘ডিফেন্স লাইন’ অ্যান্টিবডি গড়ে তোলার জন্য ভাইরাস বা তার দেহের একাংশকে অ্যান্টিজেন হিসেবে শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ভাইরাসের একাংসকে অ্যান্টিজেন হিসেবে ঢোকানো হয় বলে তা কোনও সংক্রমণ ঘটাতে পারে না। বরং প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে ওই ভাইরাসের সম্ভাব্য হানার জন্য তার ‘ডিফেন্স লাইন’ সাজিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
আর প্যাসিভ ইমিউনিটিতে অ্যান্টিজেন না পাঠিয়ে সরাসরি অ্যান্টিবডি পাঠানো হয়। তার ফলে প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে শত্রুর জন্য আগেভাগে অ্যান্টিবডি বানিয়ে রাখতে হয় না। তার হাতে ‘রেডিমেড’ অ্যান্টিবডি তুলে দেওয়া হয় প্যাসিভ ইমিউনিটিতে।
উর্মিলা ও জয়দীপ দু’জনেই বলছেন, ‘‘ব্রিটেন, আমেরিকায় যে প্যালিভিজুম্যাব টিকাটি দেওয়া হয় চূড়ান্ত পর্যায়ে সেটার লক্ষ্য প্যাসিভ ইমিউনিটি গড়ে তোলা। যা আদতে একটি অ্যান্টিবডি। প্যালিভিজুম্যাবের মাধ্যমেই দেহের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে দেওয়া হয় সেই অ্যান্টিবডি। অ্যান্টিবডি বলেই ওই ওষুধের দাম এত বেশি। ভাইরাসের চেহারাটা এত দিন জানা যায়নি বলেই অ্যাক্টিভ ইমিউনিটির ব্যবস্থা তেমন ভাবে নেওয়া যায়নি আরএসভি’র হামলা ঠেকানোর লক্ষ্যে। হালের গবেষণা সেই খামতি হয়তো মেটাতে পারবে।’’
কলকাতার ৪ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। (বাঁ দিক থেকে) উর্মিলা পিল্লাই রায়, জয়দীপ চৌধুরী, সুমিতা সাহা ও অরুণ মাঙ্গলিক
এই গবেষণাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অরুণ মাঙ্গলিকও। তাঁর বক্তব্য, এত দিন তেমন কোনও ওষুধ বা টিকা ছিল না এই ভাইরাসের হামলা প্রতিরোধের জন্য। শ্বাসনালী দিয়ে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে দেহের অন্যত্রও। নিঃশ্বাস বা কাশির মাধ্যমে তা আশপাশের মানুষদেরও সংক্রামিত করে। এই ভাইরাস ফের আক্রমণ করে ৬০ বছর বয়সের পর। এই রোগে শিশুদের ভোগান্তিটাই হয় বেশি। মৃত্যুর সংখ্যা কম। তবে হার্ট, ফুসফুসের গঠনে ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলে এই ভাইরাসের হানাদারিতে জীবনহানিও ঘটে।
আরএসভি: ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিনের জেনেটিক্স বিভাগের সেই ঘোষণা।
‘হু’র পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ফি বছর শুধু আমেরিকাতেই ৫ বছরের নীচে থাকা শিশুদের মধ্যে গড়ে ৫৭ হাজার শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় এই ভাইরাসের হামলার মুখে পড়ায়। ৬০/৬৫ বছর বয়স পেরনোর পর সেই সংখ্যাটা গড়ে ১৪ হাজারের মতো।
টিকা বা ওষুধ কি তবে খুব শীঘ্রই আসছে বাজারে?
কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুমিতা সাহা বলছেন, ‘‘অন্তত আরও তিনটি ফেজ ট্রায়ালের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে এই গবেষণাকে। দেখতে হবে, সেই ওষুধ বা টিকা দামে সস্তা হয় কি না, বাজারে সহজলভ্য হয় কি না। একই সঙ্গে তার ক্ষমতা, কার্যকারিতা বার বার পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। তাই বাজারে আসতে সেই ওষুধ বা টিকার আরও ১৫ বছর লেগে যাবে বলেই মনে হয়।’’