উৎক্ষেপণের দিন গুনছে ইসরোর সূর্যযান আদিত্য এল১। ছবি: টুইটার।
অপেক্ষার আর মাত্র দিন দুয়েক। তার পরেই আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। এই প্রথম সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দিতে চলেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। চন্দ্রযান-৩-এর চেয়ে এই অভিযানও কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বুধবার সূর্যযান উৎক্ষেপণের প্রস্তুতির কিছু ছবি ভাগ করে নিল ইসরো।
অন্ধ্রপ্রদেশের সতীশ ধাওয়ন স্পেস রিসার্চ সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে আগামী ২ সেপ্টেম্বর, শনিবার সূর্যযান আদিত্য এল১-এর উৎক্ষেপণ হবে। সূর্যযান উড়বে ঠিক বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে। অন্ধ্রপ্রদেশের উৎক্ষেপণস্থলে তার আগে সাজ সাজ রব। ইতিমধ্যে লঞ্চিং প্যাডে আদিত্য এল১ স্থাপন করা হয়ে গিয়েছে।
বুধবার ইসরো মোট চারটি ছবি টুইট করেছে। সঙ্গে লিখেছে, উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি চলছে। মহড়া এবং উৎক্ষেপণ যন্ত্রের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে গিয়েছে।
এটি ভারতের প্রথম সূর্য অভিযান। সূর্যের অভিমুখে গিয়ে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে নক্ষত্রটিকে পর্যবেক্ষণ করবে আদিত্য এল১। সূর্য সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য এর মাধ্যমে ইসরোর হাতে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। পৃথিবী থেকে সাড়ে ১০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে পাঠানো হবে আদিত্য এল১-কে। এই অংশকে বলা হয় ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট। এখানে সূর্য এবং পৃথিবীর আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসঙ্গে ক্রিয়াশীল। ফলে এই অঞ্চলে পৌঁছে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থির থাকতে পারে। মহাকাশের পরিবেশ, আবহাওয়া, তার উপর সূর্যের কী প্রভাব পড়ে, সে সব জানার চেষ্টা করবে আদিত্য এল১।
এর আগে গত ২৩ অগস্ট চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে ইসরো। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতই প্রথম পা রেখেছে। চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম পাখির পালকের মতো অবতরণ করেছে চাঁদের পিঠে। তার পর তা থেকে বেরিয়ে এসেছে রোভার প্রজ্ঞান। রোভারটি চাঁদে ঘুরে ঘুরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। মোট ১৪ দিন এই অনুসন্ধান চলবে। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্য ইতিহাসের পাতায় ইসরো তথা ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে। এ বার সকলের চোখ তাই সূর্য অভিযানের দিকে।