সূর্যের পথে ইসরোর আদিত্য-এল১। —প্রতীকী চিত্র।
সূর্যের আলোকরশ্মি খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৈরি আদিত্য-এল১। দূর থেকেই মাপছে সৌরবায়ুর গতিপ্রকৃতি। সৌরযানের মধ্যে আরও একটি যন্ত্রকে সক্রিয় করেছে ইসরো। তার মাধ্যমেই সৌরবায়ু পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ইসরো সে কথা জানিয়েছে।
ইসরো লিখেছে, “আদিত্য সোলার উইন্ড পার্টিকেল এক্সপেরিমেন্ট পেলোডের মধ্যে সোলার উইন্ড আয়ন স্পেকটোমিটার (এসডব্লিউআইএস) নামক যন্ত্রটি সক্রিয় করা হয়েছে। সৌরবায়ুর মধ্যেকার প্রোটন এবং আলফা কণা শক্তির তারতম্য গত দু’দিন ধরে পরীক্ষা করেছে যন্ত্রটি।” গ্রাফ আকারে সেই পরিসংখ্যান প্রকাশও করেছে ইসরো।
গত ২ সেপ্টেম্বর সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা সতীশ ধাওয়ন স্পেস রিসার্চ সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল আদিত্য-এল১। প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ কিলোমিটার ভ্রমণ করে গন্তব্যে পৌঁছবে সেটি। সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝের এল১ পয়েন্টে পৌঁছতে তার মোট চার মাস সময় লাগার কথা। ইসরোর সৌরযানের যাত্রা শুরু হওয়ার পর তিন মাস সম্পূর্ণ হল শনিবার। এখনও পর্যন্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী সব ঠিক চলছে। মহাকাশে কোথাও বাধা পায়নি আদিত্য-এল১। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই গন্তব্যে পৌঁছে যাবে এই সৌরযান।
সূর্যের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে, সূর্যকে আরও কাছ থেকে দেখতে, খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে আদিত্য-এল১। এটি ভারতের প্রথম সূর্যকেন্দ্রিক প্রচেষ্টা। এর ঠিক আগেই ইসরো চন্দ্র অভিযানে সাফল্য পেয়েছিল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ভারতই প্রথম দেশ হিসাবে মহাকাশযান সফল ভাবে অবতরণ করিয়েছে। চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান প্রায় ১৪ দিন চাঁদের মাটিতে সক্রিয় ছিল। বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তারা পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। তার পর চাঁদে রাত নামলে ইসরোর যন্ত্রগুলিকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।