—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রতি দিন সকালে উঠে জিমে যান। বেশ কিছু ক্ষণ দৌড়ঝাঁপ করার পরই খিদে পেয়ে যায়। তাই এক দিন পেট ভরে সকালের জলখাবার খেয়েই সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে তো উল্টো বিপত্তি। গা গুলিয়ে, বমি করে, সে এক বিশ্রি কাণ্ড! তার পর থেকে একেবারে খালি পেটেই শরীরচর্চা করেন। কিন্তু ঘণ্টাখানেক শরীরচর্চা করার পর, খিদেতে পেট চিন চিন করতে থাকে। বাড়ি পৌঁছনো পর্যন্ত অপেক্ষা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। অনেকেই জিম থেকে বেরিয়ে তাই হাবিজাবি খেয়েও ফেলেন। ফলে গা ঘামিয়ে পরিশ্রম করেও ফল মেলে না। তবে প্রশিক্ষকেরা কিন্তু বলেন, যে কোনও ধরনের শরীরচর্চা করার আগে হালকা কিছু খেয়ে নিতে। শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম ঝরলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। শরীর ভাল করতে গিয়ে তখন আবার উল্টো বিপত্তি হয়। তবে যা ইচ্ছে খেয়ে ফেললে কিন্তু হবে না। শরীরচর্চা করার অন্তত আধ ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট আগে খেয়ে ফেলতে হবে। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের মিশ্রিত খাবার খেতে পারলেই ভাল।
শরীরচর্চা করার আগে কী ধরনের খাবার খেলে গা গুলোবে না?
১) কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট। তাই শরীরচর্চা শুরু করার আগে এই খাবার খাওয়া যায় চোখ বন্ধ করে।
২) শরীরচর্চা করার আগে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে বলেন প্রশিক্ষকেরা। সে ক্ষেত্রে ওটমিল কিন্তু প্রোটিন জাতীয় খাবারের ভাল বিকল্প হতে পারে।
৩) শরীরচর্চা করার আগে একমুঠো ড্রাই ফ্রুট্স কিন্তু প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দিতে পারে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বীজ, শুকনো ফল— শরীরে বিভিন্ন খনিজের ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে।
৪) বিভিন্ন ভিটামিন, সহজপাচ্য ফাইবার এবং ল্যাক্টিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ ইয়োগার্টও খেতে পারেন শরীরচর্চা করার আগে। পেটফাঁপা, গা গুলোনো বা বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এই খাবার।
৫) দু’টুকরো পাউরুটিতে পিনাট বাটার মাখিয়েও খেতে পারেন। সঙ্গে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে রাখতে পারেন ডিমও।