২০৩০ সালের মধ্যেই কার্বন নির্গমনের মাত্রা কমাবে ভারত। শুক্রবার এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। নির্গমনের মাত্রা ২০০৫ সালের তুলনায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। শুক্রবার বনে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে এই প্রতিশ্রুতি দেন জাভরেকর।
গ্রিন হাউজ নির্গমনের নিরিখে তৃতীয় স্থানে আছে ভারত। গ্রিন হাউজ গ্যাস কমানোর জন্য প্রায় দু’কোটি ৫০ হাজার পাউন্ড ব্যয় করার লক্ষমাত্রা রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের মাত্রা ৪০ শতাংশ করার কথা ভেবেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আগামী ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের ডাকে প্যারিসে বসতে চলেছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন। সেই সম্মেলন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নিজেদের নীতি নির্ধারণ করবে বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়ণশীল দেশগুলি। বৈঠকের আগেই জাভরেকরের ঘোষণা তাই নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য।
কারণ, গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। বরং বিশ্ব উষ্ণায়নের মোকাবিলায় সংঘবদ্ধ হয়ে লড়তে গেলে বদলাতে হবে আন্তর্জাতিক চুক্তির পরিভাষা।
গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় একটি বিতর্কে অংশ নেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি বলেন, ‘কার্বন-ডাই-অক্সাইড-সহ গ্রিন হাউজ গ্যাসগুলির নির্গমনের জন্যই মূলত জলবায়ুতে পরিবর্তন আসছে। সেই নির্গমনের পরিমাণ সব দেশকেই মোটামুটি সম পরিমাণে কমানোর কথা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তিপত্রে বলা হয়েছে। ভারতের মতো দেশে কার্বনের মাথাপিছু নির্গমনের যা পরিমাণ, আমেরিকা, চিন বা বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে নির্গমনের পরিমাণ তার থেকে আরও বেশি।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে সুষমা বলেন, সব দেশ সমান হারে নির্গমণ কমাতে পারবে না। উন্নত দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে এ বিষয়ে লক্ষ্যমাত্রার পার্থক্য থাকা জরুরি।