ছবি- ফেসবুকের সৌজন্যে।
দেশে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ঢালাও সংস্কারের পথে এগোল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। মহাকাশকেও তুলে দেওয়া হল বেসরকারি হাতে। আর শুধুই ইসরো নয়। ভারতে এ বার মহাকাশে পাড়ি জমানোর রকেট বানাতে পারবে বেসরকারি সংস্থাও। বানাতে পারবে কৃত্রিম উপগ্রহ আর তার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। ইসরোর বানানো উপগ্রহগুলিকে কক্ষপথে পাঠানোর জন্য এ বার রকেট সরবরাহ করতে পারবে বেসরকারি সংস্থা। ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছেন, এখন থেকে বিভিন্ন গ্রহে ইসরোর গবেষণামূলক অভিযানেও নানা রকম ভাবে অংশ নিতে পারবে দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার এই অনুমোদন দিয়েছে। জানিয়েছে, মহাকাশ গবেষণা ও অভিযানের নানা দিকে তো বটেই, এমনকী, বিভিন্ন গ্রহে, উপগ্রহে ইসরোর বিভিন্ন অভিযানেরও শরিক হতে পারবে বেসরকারি সংস্থাগুলি। তারা স্বাধীন ভাবেও নামতে পারবে মহাকাশ গবেষণায়।
দেশে মহাকাশ গবেষণায় ইসরো ছাড়াও বেসরকারি সংস্থাগুলিকে টেনে আনার জন্য আলাদা একটি সংস্থা গড়ার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে গত কাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই সংস্থার নাম দেওয়া হচ্ছে ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (ইন-স্পেস)’।
আরও পড়ুন- সুপারপাওয়ার শিশুর খোঁজ পেল নাসা, জন্ম যার পলাশির যুদ্ধেরও অনেক পরে!
আরও পড়ুন- আমাদের ছায়াপথেই অন্তত ৩৬টি ভিনগ্রহী সভ্যতা! দাবি বিজ্ঞানীদের
তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, মহাকাশ গবেষণার বিপুল ব্যয় ভার কিছুটা হাল্কা করতেই মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ। যাকে সরকারের তরফে ‘ঐতিহাসিক সংস্কার’ বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে ভারতে মহাকাশ গবেষণায় ইসরোর একাধিপত্য কিছুটা কমল কি? এই প্রশ্নের জবাবে ইসরো চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ইসরো আগের মতোই মহাকাশ গবেষণার উন্নততর দিকগুলিতে নিজেকে নিয়োজিত করবে।
সরকারি সূত্রের খবর, এ বার মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ‘চাহিদা বুঝে ব্যবস্থা’ নীতিই অগ্রাধিকার পাবে। তার জন্য ইসরোর পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণায় আগ্রহী বেসরকারি সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ নেওয়া হবে।