শিল্পীর চোখে ডব্লিউএএসপি-১২১-বি। ছবি সৌজন্য নাসা।
আমাদের সৌরমণ্ডলের বাইরে একেবারে পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল রয়েছে, এমন একটি ভিনগ্রহের হদিশ মিলল। এই প্রথম। ভিন গ্রহটির নাম ডব্লিউএএসপি-১২১-বি। এই ভিন গ্রহটি রয়েছে আমাদের থেকে ৮৮০ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্রমণ্ডল ডব্লিউএএসপি-১২১-তে। তার মানে আলোর গতিবেগে ছুটলে এই নক্ষত্রমণ্ডলে পৌঁছতে আমাদের সময় লাগবে ৮৮০ বছর। বুধবার নাসার তরফে এ খবর ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌরমণ্ডলের বাইরে এই প্রথম চাঁদ দেখল মানুষ
নাসা জানিয়েছে, এই ভিনগ্রহের বায়ুমণ্ডল প্রায় পৃথিবীর মতোই। তার বিভিন্ন স্তরও রয়েছে। একেবারে নীচের স্তরে ট্রপোস্ফিয়ার তো রয়েইছে, রয়েছে তার উপরের স্তর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারও। আর সেই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারেই অত্যন্ত গরম জলের অণুর (জলীয় বাষ্প) সন্ধান পেয়েছে মহাকাশে থাকা হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের অতটা উপরেও অত্যন্ত গরম জলের কণার হদিশ মেলায় বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত এ ভিন গ্রহে জল রয়েছে। প্রাণ সৃষ্টির জন্য তরল অবস্থায় থাকা জলের সঙ্গে আরও যেটার প্রয়োজন হয় সেটা হল বায়ুমণ্ডল। এতদিন কোনও ভিনগ্রহেই বায়ুমণ্ডলের হদিশ মেলেনি একটাই কারণে।
আরও পড়ুন: আগামী বছরের গোড়াতেই ভারতের জোড়া চন্দ্রাভিযান
সেটা হল, মহাজাগতিক বিকিরণ সেই গ্রহের বায়ুমণ্ডলকে নষ্ট করে দিয়েছে। অথবা, দেখা গিয়েছে সেই গ্রহের অভিকর্ষ বল এতটাই কম যে কোনওকালে বায়ুমণ্ডল থাকলেও দুর্বল অভিকর্ষ বলের জন্য সেই গ্রহগুলি তাদের বায়ুমণ্ডলকে বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি। মহাকাশে সেই বায়ুমণ্ডল উড়ে গিয়েছে।
এখানেই ব্যতিক্রমী নতুন ভিনগ্রহ ডব্লিউএএসপি-১২১-বি। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ দেখেছে ওই ভিনগ্রহের বায়ুমণ্ডল বেশ পুরু। তার উপরের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারও আছে যথেষ্ট পরিমাণে। এমনকী সেই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে আছে জলের অনুও। ফলে এই আবিষ্কার ব্রহ্মাণ্ডে প্রাণএর সন্ধানের ক্ষেত্রে সত্যি সত্যি জোরালো সম্ভাবনার দরজাটা খুলে দিল।
আরও পড়ুন: ওজনে ৫০ পয়সার কয়েন! পৃথিবীকে পাক মারছে ৬ মহাকাশযান