প্রতীকী ছবি।
কোভিড আক্রান্ত হয়ে কেউ যদি হাসপাতালে ভর্তি হন, তাঁর কোন স্তরের চিকিৎসা প্রয়োজন তা বলে দেবে রক্তের নমুনাই। জানা যাবে, সাধারণ চিকিৎসায় কাজ হবে না কি দিতে হবে ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার’! এমনকি আক্রান্ত হাসপাতাল থেকে কোভিডজয়ী হয়ে ঘরে ফিরতে পারবেন না কি তাঁর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে, সেই ভবিষ্যদ্বাণীও করা সম্ভব। এমনটাই দাবি জার্মানির এক গবেষক দলের।
‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বা কৃত্রিম মেধার সাহায্য নিয়ে এমন এক বিস্ময়কর যন্ত্রের আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন ওই গবেষকেরা। যন্ত্রটি রক্তে প্রোটিনের স্তর পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মাপতে সক্ষম। এর থেকেই বলা যাবে, আক্রান্তের বাঁচার আশা কতটা।
গবেষকদের দাবি, এই পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ আরও সহজ হবে। চিকিৎসা শুরু করার আগে এই রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিলে চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। কারণ কৃত্রিম মেধার সাহায্যে তৈরি এই যন্ত্রটি আক্রান্তের রক্তের নমুনার ১৪টি স্তর পরীক্ষা করে চূড়ান্ত ফলাফল দেবে। যার ভিত্তিতে দ্রুত সেই চিকিৎসা পদ্ধতির উপরেই জোর দেওয়া যাবে যা সংশ্লিষ্ট আক্রান্তের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয়।
জার্মানির চ্যারিটি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ৫০ জন করোনা আক্রান্তের উপর এই পরীক্ষা চালানো হয়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যন্ত্রটির চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা জানান, প্রাথমিক ভাবে যে ২৪ জন আক্রান্তের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ১৯ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরে যান। কিন্তু মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। উল্লেখ্য, এই পাঁচ জনের যে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে তা ওই যন্ত্রটির কৃত্রিম মেধার সাহায্যে আগেই নির্ণয় করা গিয়েছিল।
আফ্রিকা। প্রথম এই মহাদেশেই দেখা দিয়েছিল ওমিক্রন। করোনার এই নয়া ভেরিয়েন্টের সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়েছিল আফ্রিকায়। তবে বর্তমানে সেখানে সংক্রমণের হার দ্রুতগতিতে নিম্নগামী বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। প্রায় ৫৬ দিনের ধরে চলা এই চতুর্থ ঢেউ এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ‘ছোট’ বলে জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র আঞ্চলিক দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে, নতুন করে সংক্রমণের হার প্রায় ২০% কমে গিয়েছে। মৃত্যু কমেছে আট শতাংশ।
সম্প্রতি সংক্রমণের গতি বাড়তে থাকায় কড়া হাতে তা মোকাবিলায় নেমেছিল চিন। বেশ কয়েকটি জায়গায় জারি করা হয় কড়া লকডাউন। যার বেশ প্রভাব পড়েছে দেশের বাণিজ্যের উপরেও। তবে এর সুফল দেখা গেল শুক্রবার চিনের প্রকাশিত রিপোর্টে। সেখানে দেখা গিয়েছে, গত দু’মাসের তুলনায় সংক্রমিতের সংখ্যা সবচেয়ে কম দেশে। এই নিয়ে টানা চারদিন সংক্রমিতের সংখ্যা লাগাতার
নিম্নমুখী চিনে।
অন্য দিকে, ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে সওয়াল করতে দেখা গেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (হু)। এক বিবৃতিতে সম্প্রতি হু জানিয়েছে, ‘‘ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়া রুখতে দেশে দেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যদিও এর কার্যকারিতা প্রমাণ করা যায়নি। ঝুঁকির মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা দরকার। না হলে শুধু শুধু যাত্রীদের উপর আর্থিক বোঝা চাপবে যা কখনই কাঙ্খিত নয়।’’