প্রতীকী ছবি।
বাড়তি মেদ ঝরাতে সকালে ঘুম থেকে উঠে বা বিকালে ব্যায়াম শুরুর আগে এক কাপ কফি খেয়ে নিন। দুধ না মিশিয়ে কালো কফি খেলেই সবচেয়ে ভাল। না পারলে দুধ মিশিয়েও কফি খেতে পারেন। এতে শরীরের বাড়তি মেদ পোড়ার গতি আরও অনেকটা বেড়ে যাবে। ব্যায়ামের শেষে নিজেকে আরও অনেক বেশি ঝরঝরে লাগবে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এ কথা জানিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘জার্নাল অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব স্পোর্টস’-এ।
গবেষণা জানিয়েছে, সকালে ঘুম থেকে উঠে বা বিকালে ব্যায়াম শুরুর ঠিক আধ ঘণ্টা আগে এক কাপ কফি খেলে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরানোর কাজের গতি অনেকটাই বেড়ে যায়। সারা দিন হাড়ভাঙা খাটলে শরীরের মেদ যতটা ঝরে, গবেষণা জানিয়েছে, তার চেয়ে বেশি মেদ ঝরানো যায় সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি খেয়ে ব্যায়াম শুরু করলে।
গবেষকরা দেখেছেন দেহের ওজনের প্রতি কিলোগ্রাম-পিছু ৩ মিলিগ্রাম ওজনের কফিসেবনেই মেদ ঝরানোর কাজটা বেশ ভাল ভাবে হয়। তবে একটি কাপে গড়ে কফি থাকে ৬ মিলিগ্রাম ওজনের। তাই মেদ ঝরানোর জন্য প্রয়োজনের চেয়ে কফি পরিমাণে প্রায় দ্বিগুণ থাকে একটি কাপে।
গবেষণাটি চালানো হয়েছে ১৫ জন পুরুষের উপর। এক মাস ধরে। ১৫ জনকে সকাল ৮টা এবং বিকাল ৫টায় ব্যায়ামের আগে এক কাপ কফি খাইয়েছেন গবেষকরা, এক মাস ধরে।
মানুষের দেহের মেদের জারণ হার সাধারণত সকালে থাকে ১০.৭ শতাংশ। আর বিকালে ২৯ শতাংশ। গবেষণা জানিয়েছে, সকালে বা বিকালে ব্যায়ামের আধ ঘণ্টা আগে এক কাপ কফি খেয়ে নিলে মেদের সেই জারণ হার বেড়ে যায়।
খেলার আগে কফি সেবনে ক্রীড়াবিদদের দক্ষতা বাড়তে দেখা গিয়েছে। তবে তার পিছনের বৈজ্ঞানিক কারণগুলি এখনও জানা যায়নি।
তবে কফি সেবন কী ভাবে আমাদের মস্তিষ্কের ও বিভিন্ন শারীরিক কাজকে প্রভাবিত করে, তার কারণ অনুসন্ধানের কাজ দীর্ঘ দিন ধরেই চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এ-ও দেখা হচ্ছে গ্রীষ্ম, শীত নির্বিশেষে নিয়মিত কফি সেবন মানুষের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় কি না, কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়ে ওঠে কি না।
সাম্প্রতিক গবেষণা এও জানিয়েছে, শরীরের বাড়তি মেদ ঝরানোর জন্য অবশ্য সবচেয়ে ভাল বিকালে এক কাপ কফি খাওয়ার আধ ঘণ্টা পরে হাল্কা নয় আবার খুব বেশিও নয়, এমন ব্যায়াম করে নেওয়া।