Kailasavadivoo Sivan

জুতো কেনারও টাকা ছিল না, দরিদ্র চাষির ছেলে শিবনই আজ ইসরোর চেয়ারম্যান!

ইসরোর চেয়ারম্যান সেই কে শিবনের জীবন কিন্তু মোটেই স্বচ্ছল ছিল না। বরং অত্যন্ত দারিদ্রের মধ্যেই তাঁর বড় হওয়া, পড়াশোনা।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:২৩
Share:
০১ ১০

চন্দ্রযান ২ এর হাত ধরে গত এক মাস সারা বিশ্বের আলোচনায় ইসরো। অথচ যিনি এই মিশনের মূল কারিগর, ইসরোর চেয়ারম্যান সেই কে শিবনের জীবন কিন্তু মোটেই স্বচ্ছল ছিল না। বরং অত্যন্ত দারিদ্রের মধ্যেই তাঁর বড় হওয়া, পড়াশোনা।

০২ ১০

১৯৫৭ সালের ১৪ এপ্রিল তামিলনাড়ুর মেলা সারাক্কালভিলাই গ্রামে এক অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন কে শিবন। বাবা ছিলেন কৃষক। তাঁর পরিবার এতটাই দরিদ্র ছিল যে, জুতো কেনার টাকাও ছিল না। আশেপাশের বন্ধুদের পায়ে জুতো থাকলেও খালি পায়েই স্কুলে যেতেন তিনি। জানলে হয়তো অবাক হবেন, কলেজে ওঠার পর প্রথম চপ্পল পরেছিলেন শিবন।

Advertisement
০৩ ১০

সংসারের খরচ কমাতে ছাত্রাবস্থার বেশির ভাগটাই ধুতি পরে কাটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এই দারিদ্র লক্ষ্য থেকে সরাতে পারেনি তাঁকে। যা পাননি তা নিয়ে শোক না করে যা পেয়েছেন সেগুলো নিয়েই এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। মিলেছে সাফল্য।

০৪ ১০

চাষি পরিবার থেকে ইসরোর চেয়ারম্যান হওয়ার জার্নিটা ভীষণ কঠিন ছিল তাঁর কাছে। বারবার বাধা এসেছে। সে বাধা মনের জোরে পার করেছেন তিনি।

০৫ ১০

তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর একটি সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন ইসরোর বর্তমান চেয়ারম্যান। ছোট থেকে পড়াশোনার প্রতি ভীষণ আগ্রহ ছিল। কিন্তু পরিবারে পড়াশোনার চল সে ভাবে ছিল না। পরিবারে তিনিই প্রথম স্নাতক। ১৯৮০ সালে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে স্নাতক হয়েছিলেন।

০৬ ১০

স্কুল পাশের পর যদিও ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়েই পড়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু সে তো অনেক খরচ! তাই তাঁর বাবা নাকি তাঁকে সাধারণ স্নাতক হতে বলেছিলেন, এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন শিবন। বাবার মন বদলাতে টানা এক সপ্তাহ উপবাস করেন তিনি। তাতে বাবার মন অবশ্য বদলায়নি। বরং তাঁকেই মত বদলাতে হয়েছিল।

০৭ ১০

বাধ্য হয়ে অঙ্ক নিয়েই পড়ে স্নাতক হন তিনি। কিন্তু ছেলের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা কতটা তীব্র, তত দিনে তা বুঝে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা। স্নাতক হওয়ার পর ছেলেকে নিজেই জমি বিক্রি করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়িয়েছিলেন। বাবা তাঁকে বলেছিলেন, ‘তুমি যা করতে চেয়েছিলে একদিন সেটা আমি তোমাকে করতে দিইনি। কিন্তু আমি আর তোমাকে বাধা দেব না। জমি বেচে তোমার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের খরচ জোগাব।’

০৮ ১০

এরপর কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়েও বাধার মুখে পড়েন তিনি। স্কুল পাশের পরে কোন কলেজে ভর্তি হবে তা নিয়ে প্রতিটা পরিবারেই খুব ভাবনাচিন্তা চলে। কোন কলেজের রেজাল্ট কেমন, পড়াশোনা কেমন হয় এ সব খোঁজ নিয়েই তবে একজন পড়ুয়া কলেজ বেছে নেন। শিবনের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু অন্য ছিল।

০৯ ১০

শিবন কোন কলেজে ভর্তি হবেন তা ঠিক করে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। বেছে বেছে বাড়ির সবচেয়ে কাছের কলেজেই তাঁকে ভর্তি করিয়েছিলেন। যাতে কলেজে ছুটির পরই দ্রুত বাড়ি ফিরে চাষাবাদে হাত লাগাতে পারেন।

১০ ১০

১৯৮২ সালে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স থেকে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন শিবন। ১৯৮২ সাল থেকে তিনি ইসরোর পিএসএলভি তৈরির প্রজেক্টে যুক্ত হন। তারপর তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ ক্রমে উপরে উঠেছে। ২০১৪ সালে ইসরোর লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সেন্টারের চেয়ারম্যান করা হয় তাঁকে। ২০১৮ সালে ইসরোর চেয়ারম্যান হন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement