ফাইল ছবি।
একেই বলে সহারায় শিহরণ! আগের চেয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে সহারা মরুভূমির ধুলোঝড়। আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকার পর এখন সেই ধুলোঝড় গ্রাস করেছে আর একটি মহাদেশ- ইউরোপকেও। আর তা যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে হচ্ছে তা নয়। বছরে বার বার হচ্ছে, ঘন ঘন।
এই উদ্বেগজনক খবর দিয়েছে নাসার ‘নোয়া-২০’ মহাকাশযান। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মহাকাশযানের এই পর্যবেক্ষণের কথা নাসার আর্থ অবজারভেটরি জানিয়েছে সোমবার।
নাসার মহাকাশযানের চোখে ধরা পড়েছে সহারা মরুভূমি থেকে ওঠা ভয়ঙ্কর ধুলোঝড়ে আকাশ সবচেয়ে বেশি ঢেকে যাচ্ছে স্পেন ও ফ্রান্সে। সূর্যের আলো পড়লে আর আগের মতো ঝকঝকে দেখাচ্ছে না আল্পস ও পিরেনিজ পর্বতমালা দু’টির গিরিশৃঙ্গগুলিকে। বরফচূড়াগুলি ঢেকে যাচ্ছে সহারা মরুভূমি থেকে ছুটে আসা ধুলোর পুরু আস্তরণে। ওই ধুলোঝড়ের পরিণতিতে ফ্রান্সের বেশির ভাগ এলাকারই আকাশ হয়ে যাচ্ছে গোলাপি রঙা। কোথাও বা আকাশ গাঢ় লাল রঙের। এমনকি, ফ্রান্সের ভৌগোলিক সীমা পেরিয়ে সহারা মরুভূমির ধুলোঝড়কে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে ইউরোপের উত্তরের শেষ বিন্দু নরওয়েতেও।
সহারার সর্বগ্রাসী ধুলোঝড়ের এই ছবি পাঠিয়েছে নাসার মহাকাশযান। ছবি- নাসার সৌজন্যে।
নাসা জানিয়েছে, যে ভাবে সহারা মরুভূমির ধুলোঝড় গ্রাস করেছে স্পেনকে আর তার সঙ্গে যে পরিমাণে মিশে রয়েছে জলকণা তাতে স্পেনে খুব শীঘ্র ‘মাটিগলা বৃষ্টি (‘মাড রেন)’ পড়তেও দেখা যেতে পারে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির কোপারনিকাস অ্যাটমস্ফিয়ার মনিটরিং সার্ভিসের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, সহারা মরুভূমি থেকে ছুটে আসা এই ধুলোঝড় এ বার শুধুই যে গোটা ইউরোপের বায়ুমণ্ডলের মানের অবনমন ঘটাবে তা-ই নয়; ইউরোপের বড় বড় পর্বতমালাগুলির সুউচ্চ গিরিশৃঙ্গগুলির বরফও গলিয়ে দিতে পারে। আরও বেশি পরিমাণে সৌরশক্তি শুষে নিতে পারে। মহাসাগরগুলির বাস্তুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।