‘শিয়ান-১০’ উপগ্রহটির উৎক্ষেপণ। সোমবার। ছবি-টুইটারের সৌজন্যে।
আকাশে দেখা গিয়েছিল আগুনের গোলা। আকারে বেশ বড়। কিন্তু কেন তা বোঝা যাচ্ছিল না। সন্দেহ,সংশয় ইতিউতি উঁকি মারলেও।
মহাকাশ অভিযানে তাদের ব্যর্থতার কথা শেষ পর্যন্ত স্বীকার করল চিন। জানাল, ‘শিয়ান-১০’ উপগ্রহটিকে তারা পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠাতে পারেনি। যান্ত্রিক গোলযোগে সেটি মহাকাশেই হারিয়ে গিয়েছে।
সোমবার দক্ষিণ চিনের সিচ্যাং উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে লং মার্চ-৩বি রকেটের পিঠে চাপিয়ে মহাকাশে পাঠানো হয় ‘শিয়ান-১০’ উপগ্রহটিকে। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই উত্তর-পশ্চিম চিনের জিউকুয়ান উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে কুয়াইঝাউ-১এ রকেটের পিঠে চাপিয়ে মহাকাশে পাঠানো হয় আরও একটি উপগ্রহ- ‘জিলিন-১ গাওফেন-০২ডি’ উপগ্রহটিকে।
মহাকাশে রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জিলিন-১ গাওফেন-০২ডি উপগ্রহটি সফল ভাবে স্থাপিত হয় পৃথিবীর একটি কক্ষপথে। কিন্তু কোনও খবরই মিলছিল না অন্য চিনা উপগ্রহ শিয়ান-১০-এর।
বরং শিয়ান-১০ উৎক্ষেপণের কিছু পরেই অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েল্সের আকাশে দেখা যায় আগুনের বিশাল গোলা। তখন থেকেই সন্দেহ, সংশয় ইতিউতি উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করে। স্পেস নিউজ-এর তরফে টুইট করে জানানো হয়, লং মার্চ-৩বি রকেটের একেবারে শেষ স্তরের খোলটি জ্বলে যাওয়ার জন্যই হয়তো আকাশে দেখা গিয়েছে আগুনের গোলা।
ঘটনা হল, প়ৃথিবীর ঠিক কোন কক্ষপথে পাঠাতে চাইছে শিয়ান-১০ উপগ্রহটিকে, চিন আগে তার কিছুই জানায়নি। যদিও আমেরিকার স্পেস ফোর্স তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, শিয়ান-১০ উপগ্রহটিকে চিন পাঠাতে চেয়েছিল পৃথিবীর জিওসিনক্রোনাস কক্ষপথে। সামরিক গোয়েন্দাগিরির কাজে ব্যবহার করার জন্য।