Chandrayaan-3

চাঁদে জলকণা-খনিজের সন্ধানে তথ্য চন্দ্রযানের

সম্প্রতি সফল ভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান-৩। ২০০৮ সালের অক্টোবরে এই সিরিজ়ের প্রথম মহাকাশযান চন্দ্রযান-১ পাঠানো হয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩২
Share:

কিছু দিন আগে চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞান রোভারের বিশেষ প্রযুক্তিতে তোলা এই ছবিটা এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিল ইসরো।

চাঁদের পিঠে জলের ধারা না মিললেও যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে না, সেখানে বরফের চাদরে অস্তিত্ব মিলেছে আগেই। তা এল কী ভাবে? কিংবা চন্দ্রপৃষ্ঠে রয়েছে বহু মূল্যবান খনিজের আকর। তার উৎসই বা কী? এ সব নিয়ে মানুষের কৌতূহল অনেক দিনের। নিরন্তর গবেষণাও চলছে।

Advertisement

সম্প্রতি হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল বিজ্ঞানী তাঁদের গবেষণায় দাবি করেছেন, পৃথিবীর বর্হিমণ্ডলে যে প্লাজ়মার চাদর রয়েছে, তা থেকে নির্গত হওয়া ইলেকট্রন কণা চাঁদে আবহাওয়ার বিকার ঘটাতে সাহায্য করে। এর ফলে পাথর ভেঙে তৈরি হয় খনিজ। এমনকি এ ভাবেই তৈরি হতে পারে জলকণা। ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের ওই গবেষণাপত্র। এই গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য মিলেছে চন্দ্রযান-১ অভিযান থেকে।

সম্প্রতি সফল ভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান-৩। ২০০৮ সালের অক্টোবরে এই সিরিজ়ের প্রথম মহাকাশযান চন্দ্রযান-১ পাঠানো হয়েছিল। ২০০৯ সালের অগস্ট পর্যন্ত সে সফল ভাবে কাজ করেছে। চাঁদের মাটিতে পা না রাখলেও, সেই যান চাঁদকে কক্ষ করে ঘুরেছে। রিমোর্ট সেন্সিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে তথ্য।

Advertisement

হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শুয়াই লি এবং তাঁর সহকারী গবেষকেরা সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে নবলব্ধ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। গবেষণায় জানা গিয়েছে, চাঁদ যে সময়ে পৃথিবীর ম্যাগনেটোটেল (পৃথিবীর বর্হিমণ্ডলের স্তর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের প্রভাব) পর্যায়ের বাইরে থাকে, সেই সময় তার উপরে সৌরজাগতিক ঝড় আছড়ে পড়ে। তার জেরে প্রবল শক্তিশালী প্রোটন কণার সঙ্গে চন্দ্রপৃষ্ঠের সংঘর্ষ হয়। আবহবিকারের ফলে চাঁদের পিঠে পাথর ভেঙে ধীরে ধীরে তা খনিজে পরিণত হয়। তৈরি হয় জলকণাও। আবার যে সময়ে ম্যাগনেটোটেল পর্যায়ের মধ্যেই চাঁদ থাকে, তখন সৌরঝড় চাঁদকে ছুঁতে পারে না। সেই সময় জলকণা তৈরির সম্ভাবনাও শূন্যে নেমে যায়।

একই ভাবে পৃথিবীর বাইরের স্তরে প্লাজ়মার যে চাদর রয়েছে সেখান থেকে নির্গত শক্তিশালী ইলেকট্রন কণার জেরেও চন্দ্রপৃষ্ঠে জলকণা তৈরি হতে পারে। চন্দ্রযান-১ থেকে দীর্ঘ সময় ধরে যে তথ্য মিলেছে, তা থেকে এই দুই পর্যায়ের পার্থক্য স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন গবেষকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement