ডিসেম্বরের আকাশে ‘ভিরটানেন’ ধূমকেতু। ছবি নাসার সৌজন্যে।
যাঁরা এ বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল ধূমকেতুকে খালি চোখে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না, তাঁরা এ বার চোখ রাখুন রাতের আকাশে। এই ডিসেম্বরে ধূমকেতু ‘৪৬পি/ ভিরটানেন’কে দেখা যাবে খালি চোখেই। ৪০০ বছর পর পৃথিবীর এত কাছে এসেছে ধূমকেতুটি। যা আগামী কাল, রবিবার সবচেয়ে কাছে আসবে পৃথিবীর। তখন পৃথিবী থেকে মাত্র ৭০ লক্ষ মাইল দূরে থাকবে ওই ধূমকেতু। চাঁদ যতটা দূরে রয়েছে পৃথিবীর, তার চেয়ে ধূমকেতুটি ৩০ গুণ বেশি দূরে থাকবে।
সব ধূমকেতুর মতোই ‘৪৬পি/ ভিরটানেন সূর্যকে কেন্দ্র করে নিজের কক্ষপথে ঘুরে চলেছে। সূর্যের এক বার ঘুরতে তার সময় লাগে মোটামুটি সাড়ে ৫ বছর। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতেই ধূমকেতুটি এখন এসে পড়েছে পৃথিবীর এত কাছাকাছি। যার জেরে তাকে অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখাবে। এই শতাব্দীতে আর কখনও পৃথিবীর এত কাছে আসবে না ধূমকেতুটি।
এই ধূমকেতুটির আবিষ্কার হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল ভিরটানেন ও তাঁর সহযোগীরা ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্ট হ্যামিলটন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রথম দেখেছিলেন এই ধূমকেতুটিকে। ওই জ্যোতির্বিজ্ঞানীর নামেই ধূমকেতুটির নাম রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্পূরের মতো উবে যাচ্ছে পৃথিবীর ৪ গুণ একটা গ্রহ!
১৬ ডিসেম্বর এ রকম অবস্থানে থাকবে সূর্য, পৃথিবী ও ভিরটানেন ধুমকেতুটি। অলঙ্করণে তিয়াসা দাস।
তবে এই ধূমকেতুটির লেজটাকে দেখা যাবে না। কারণ এটি একটি ছোট ধূমকেতু। ভিরটানেন আমাদের চোখে ধরা দেবে নীল-সবুজ রঙের আগুনের গোলার রংয়ে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আকাশে মেঘ না থাকলে সব দেশ থেকেই দেখা যাবে এই ধূমকেতুকে। খোলা চোখে বোঝা গেলেও বাইনোকুলারে চোখ রাখলে আরও ভাল ভাবে বোঝা যাবে তাকে। এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা ৫ হাজার ২৫৩টি ধূমকেতুর দেখা পেয়েছেন।