শিল্পীর কল্পনায় কৃষ্ণগহ্বর। ছবি: রয়টার্স।
এ গ্রহের কাছাকাছি কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। অবশেষে এক হাজার আলোকবর্ষ (অর্থাৎ কি না, ৫.৮৮ লক্ষ কোটি মাইল) দূরে, ‘টেলিস্কোপিয়াম’ নক্ষত্রপুঞ্জে তার দেখা মিলল।
আপাতদৃষ্টিতে অনেক দূরের বাসিন্দা মনে হলেও, মহাবিশ্ব হিসেবে ভাবলে এটি একেবারে পাশের বাড়ির সদস্য। এক জোড়া নক্ষত্রের অবস্থান থেকে কৃষ্ণগহ্বরটিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। একটি নক্ষত্র কৃষ্ণগহ্বরটিকে বেষ্টন করে ঘুরছে। অন্য নক্ষত্রটি প্রথমটির কক্ষপথকে ঘিরে বাইরে থেকে পরিক্রমা করছে। কৃষ্ণগহ্বরকে এ ভাবে চিহ্নিত করা গেল এই প্রথম। ওই নক্ষত্র জোড়ার নাম রাখা হয়েছে ‘এইচআর৬৮১৯’। এই আবিষ্কারের পিছনে রয়েছে ‘ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজ়ারভেটরি অর্গানাইজেশন’। সংস্থার সঙ্গে যুক্ত মহাকাশ বিশেষজ্ঞ ডিয়েট্রিক বাডে বলেন, ‘‘আপনারা হয়তো বলে থাকেন কৃষ্ণগহ্বর। সে অর্থে এটি সত্যিই কালো, অন্ধকার। এই প্রথম এ ভাবে কোনও কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পাওয়া গেল। এটি পৃথিবীর সব চেয়ে কাছাকাছি কৃষ্ণগহ্বরও বটে।’’ ডিয়েট্রিক জানালেন, কোনও টেলিস্কোপ বা বাইনোকুলার ছাড়াই আকাশে দেখা যায় কৃষ্ণগহ্বরটিকে ঘিরে থাকা নক্ষত্রজোড়া ‘এইচআর৬৮১৯’-কে। তবে এই মুহূর্তে তা সম্ভব নয়। কারণ এখন সূর্যের ঠিক পিছনে এদের অবস্থান।
আরও পড়ুন: কোনও অদৃশ্য শক্তি আছে কি ব্রহ্মাণ্ডে? নোবেলজয়ীদের তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ অক্সফোর্ডের বাঙালির
কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধকে কি ‘ভ্রান্ত নিরাপত্তাবোধ’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)