প্রতীকী ছবি।
গতি বাড়িয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু ‘অ্যাপোফিস’। ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রনমি-র বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অ্যাপোফিস-এর গতি বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। তাঁদের দাবি, যে গতিতে গ্রহাণুটি ধেয়ে আসছে তাতে ২০৬৮-তে ধাক্কা লাগবে পৃথিবীর সঙ্গে।
মিশরীয় দেবতা যাকে ‘গড অব কেওস’ বলা হয়, তার নামানুসারেই গ্রহাণুর নামকরণ করা হয়েছে। আয়তনে তিনটে প্রমাণ মাপের ফুটবল মাঠের সমান এই গ্রহাণু। ৮ কোটি ৮০ লক্ষ টন টিএনটি বিস্ফোরণে যে শক্তি নির্গত হয়, এই গ্রহাণুর ধাক্কায় তেমনই শক্তি উত্পন্ন হবে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। শুধু তাই নয়, এর ধ্বংস ক্ষমতা হিরোশিমায় ফেলা পরমাণু বোমার ধ্বংস ক্ষমতার চেয়ে ৬৫ হাজার গুণ বেশি।
২০০৪-এ এই গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয়। তখন থেকেই গ্রহাণুটির গতি-প্রকৃতির উপর নজরদারি চালাচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রনমি-র বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ডেভ থোলেন। তিনি জানান, এই প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কয়েক বার গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছে পৃথিবী। ২০২৯-এর ১৩ এপ্রিল অ্যাপোফিস পৃথিবীর এত কাছাকাছি চলে আসবে যে এটাকে খালি চোখেই দেখা যাবে বলে দাবি করেছেন থোলেন। তবে সে সময় পৃথিবীর সঙ্গে অ্যাপোফিস-এর সংঘর্ষ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।