Atlantic Ocean

আটলান্টিক মহাসাগরের নীচে জেগে উঠছে ‘দানব’! আফ্রিকা, ইউরোপ থেকে দূরে সরে যেতে পারে দুই আমেরিকা

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার’-এ। ২৭ ফেব্রুয়ারি সংখ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:৪৬
Share:

আটলান্টিক মহাসাগর। -ফাইল ছবি।

একটা ‘দানব’ মাথা তুলতে শুরু করেছে আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে। মহাসাগরের নীচ থেকে সেই দানব শিলাখণ্ডটি ধীরে ধীরে মাথা তুলছে। নড়াচড়া করছে।

Advertisement

গবেষকরা বলছেন, এই দৈত্যাকার শিলাখণ্ডটিই এক দিন আফ্রিকা, ইউরোপ এবং দুই আমেরিকা মহাদেশের ভূগোল বদলে দেবে। আফ্রিকা ও ইউরোপ, এই দু’টি মহাদেশ থেকে দ্রুত আরও দূরে সরিয়ে দেবে দুই আমেরিকা, দক্ষিণ ও উত্তরকে।

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার’-এ। ২৭ ফেব্রুয়ারি সংখ্যায়। গবেষকরা এই শিলাখণ্ডটির খোঁজ পেয়েছেন সমুদ্রের তলদেশের ৬০০ কিলোমিটার নীচে।

Advertisement

এটা জানা ছিল, আফ্রিকা ও ইউরোপ, এই দু’টি মহাদেশ থেকে উত্তরোত্তর দূরে সরে যাচ্ছে দুই আমেরিকা মহাদেশ। দক্ষিণ আর উত্তর। মহাদেশগুলির নীচে থাকা টেকটনিক প্লেটগুলি একে অন্যের থেকে দ্রুত দূরে সরে যাচ্ছে বলে গবেষকরা প্রমাণ পেয়েছেন।

সেই গতিবেগ কিন্তু খুব কম কিছু নয়। বছরে কয়েক সেন্টিমিটার করে। কেন গতিবেগ এতটা, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন অনেক দিন ধরেই উঁকিঝুঁকি মারছিল ভূকম্পবিদদের মনে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে সদ্য খোঁজ মেলা এই শিলাখণ্ডটি এ বার সেই রহস্যের জট খুলতে পারে। এই শিলাখণ্ডটিই উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকাকে আফ্রিকা ও ইউরোপ থেকে আরও অনেক দূরে সরিয়ে দিতে পারে। আরও দ্রুত গতিতে।

গবেষকরা জানিয়েছেন এই দৈত্যাকার অত্যন্ত উষ্ণ শিলাখণ্ডটি জেগে উঠছে আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে। পৃথিবীর ম্যান্টলের কয়েকশো কিলোমিটার গভীর থেকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে সে। এই দৈত্যাকার শিলাখণ্ডটিই আফ্রিকা ও ইউরোপ থেকে দুই আমেরিকা মহাদেশকে দ্রুত দূরে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement