-ফাইল ছবি।
মেসেঞ্জার আরএনএ ব্যবহার করে মডার্না ও ফাইজার-এর বানানো দু’টি কোভিড টিকা নেওয়া হলে বড় কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ারই আশঙ্কা নেইক। তা সে খিঁচুনি (‘সিজার্স’), এনসেফেলাইটিস বা গিলায়েন-ব্যারের মতো অত্যন্ত জটিল স্নায়ুরোগ হোক বা স্ট্রোক, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কেশন অথবা পালমোনারি এমবলিজ্মস-এর মতো জটিল হৃদরোগ, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসাবে কোনওটিরই আশঙ্কা নেই মডার্না ও ফাইজার-এর বানানো দু’টি কোভিড টিকা নেওয়া হলে। ওই দু’টি টিকাই বানানো হয়েছে মেসেঞ্জার আরএনএ ব্যবহার করে। টিকাগুলি থেকে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবে অ্যাপেনডিসাইটিস, বেল’স প্যালসি বা অ্যানাফিলাক্সিস-এর মতো রোগেরও আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে।
আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে মডার্না ও ফাইজার-এর কোভিড টিকা নিয়েছেন এমন ৬০ লক্ষেরও বেশি মানুষের উপর নিরীক্ষা চালিয়ে এই ফলাফলের খবর দিয়েছে ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশান (সিডিসি)’। ট্রায়াল চালানো হয়েছে সিডিসি-র অর্থসাহায্যে।
মডার্না ও ফাইজার-এর বানানো দু’টি কোভিড টিকাকেই ব্যবহারের জন্য ভারতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দু’টি টিকা ভারতে আসতেও শুরু করেছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর প্রতি সপ্তাহে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে মডার্না ও ফাইজার-এর কোভিড টিকা যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের উপর এই নিরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিডিসি।
এও দেখা হয়েছে যে, টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের মধ্যবর্তী সময়ে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবে এই সব রোগগুলির আশঙ্কা কমা-বাড়া করছে কি না। সেটা বুঝতে প্রথম পর্বে কোভিড টিকা নেওয়া ৬২ লক্ষ মানুষের উপর নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরে নিরীক্ষা চালানো হয়েছে দ্বিতীয় পর্বে কোভিড টিকা নেওয়া ৫৭ লক্ষ মানুষের উপর। সিডিসি জানিয়েছে, প্রথম বা দ্বিতীয় পর্বে কোভিড টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সেই আশঙ্কা ন্যূনতম হওয়ার হার সমান। আরও দু'বছর ধরে এমন নিরীক্ষা আমেরিকা জুড়ে চালানো হবে বলেও সিডিসি জানিয়েছে।