‘উড়ন্ত চাকি’? মহাকাশ স্টেশনের ওপর দেখা গিয়েছে যে মহাজাগতিক বস্তুটিকে।
এখানে নয়, ওখানে নয়। একেবারে অন্য কোনওখানে, অতলান্ত মহাকাশে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) ওপর আবার দেখতে পাওয়া গেল ভিনগ্রহীদের ‘যান’- উড়ন্ত চাকি বা আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট (ইউএফও)! আর সেই উড়ন্ত চাকির হদিশ মেলার পর গ্রাউন্ড কন্ট্রোল ও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মধ্যে ছবি ও বার্তা বা সিগন্যালের যে আদানপ্রদান হয়, সেই ‘ফিড’ও সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয় নাসা। আমেরিকার উলভারহ্যাম্পটন থেকে মহাকাশ স্টেশনের ওপর দিয়ে চলে যাওয়া সেই উড়ন্ত চাকিটিকে দেখা গিয়েছে বলে দাবি। সঙ্গে সঙ্গে তার ছবিও তুলে রাখেন উলভারহ্যাম্পটনের এক নাগরিক জন ক্র্যাডিক। নাসার তরফে সরকারি ভাবে অবশ্য এমন কোনও ঘটনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। যাঁরা ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন, সেই ‘কনস্পিরেসি থিয়োরিস্ট’রা কিন্তু বলছেন, মহাকাশ স্টেশনের ওপর দিয়ে চলে যাওয়া ওই অচেনা, অজানা মহাজাগতিক বস্তুটি আদতে ‘ভিনগ্রহীদের যান’। আমরা যাকে ‘উড়ন্ত চাকি’ বলে জানি।
যে বস্তুটিকে (লাল বৃত্তাকার) মহাকাশ স্টেশনের ওপর দিয়ে চলে যেতে দেখা গিয়েছে
ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জন ক্র্যাডিক বলেছেন, ‘‘গত ২০ জানুয়ারি আমি এক বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা মারার সময় মহাকাশ স্টেশনের ওপর ওই উড়ন্ত চাকিটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখি। সেটি যখন ধীরে ধীরে পৃথিবীর দিকে সরে যেতে থাকে, তখনই ‘ফিড’ বন্ধ করে দেয় নাসা। এর আগেও আমি বহু বার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটিকে দেখেছি। কিন্তু এর আগে কখনওই তার ওপর এমন ‘উড়ন্ত চাকি’ উড়তে দেখিনি। প্রথমে তা খুব ছোট দেখতে লাগছিল। পরে সেটি বড় আর উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ২৫ সেকেন্ড ধরে আমি মহাকাশ স্টেশনের ওপর ওই ‘উড়ন্ত চাকি’টিকে ঘোরাফেরা করতে দেখেছিলাম। আমি খবর নিয়ে জানতে পেরেছি, ওই সময় মহাকাশের ওই অবস্থানে পৃথিবী থেকে পাঠানো কোনও কৃত্রিম মহাকাশযান ছিল না।’’
উড়ন্ত চাকি বিশেষজ্ঞ নাইগেল ওয়াটসন বলেছেন, ‘‘মহাকাশ স্টেশনের ওপরে বা তার আশপাশে ইউএফও চক্কর মেরেছে বলে আগে শুনিনি। তবে এ বার যে ঘটনার ভিডিও দেখলাম, তা দেখে চমকে গিয়েছি। এত ভাল ভাবে মহাকাশ স্টেশনের ওপর উড়ন্ত চাকিকে ঘোরাফেরা করতে এর আগে দেখিনি।’’
কী বলছে নাসা?
এই ঘটনায় নাসার প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এর আগে এমন ধরনের ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নাসার মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘মহাকাশ স্টেশনের কাচের জানলা থেকে আলোর প্রতিফলনের ফলে ওই বস্তুটির সৃষ্টি হতে পারে। আলোর সরণের ফলেই সেটিকে সরে সরে যেতে দেখা যেতে পারে। হতে পারে তা কোনও মহাজাগতিক বস্তুর টুকরো বা কোনও কৃত্রিম উপগ্রহের কোনও ভাঙাচোরা অংশও। সূর্যালোকে সেটাকে ‘উড়ন্ত চাকি’ বলে মনে হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন- ভিনগ্রহীরা বার বার আসছে পৃথিবীতে! গোপন নথি প্রকাশ করল সিআইএ