black hole

কৃষ্ণ গহ্বর নিয়ে গবেষণায় সাফল্য রানিগঞ্জের ভূমিপুত্রের

রানিগঞ্জ স্কুলপাড়ার বাসিন্দা তন্ময় পড়াশোনা করেছেন রানিগঞ্জ বয়েজ় হাই স্কুলে। তার পরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৪
Share:

তন্ময় চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

কৃষ্ণ গহ্বর বা ‘ব্ল্যাক হোল’ নিয়ে গবেষণায় সফল হয়েছেন রানিগঞ্জের ভূমিপুত্র। কৃষ্ণ গহ্বর সিগনাস এক্স-১-এর পোলারাইজ়েশন মাপায় সাফল্য পেয়েছেন তন্ময় চট্টোপাধ্যায় নামে ওই বিজ্ঞানী ও তাঁর দল। আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তন্ময় জানান, গত প্রায় ৪০ বছর ধরে চেষ্টা হলেও এই কাজ এর আগে করা যায়নি। তাঁদের এই সাফল্যে কৃষ্ণ গহ্বর নিয়ে গবেষণা আরও এগোবে।

Advertisement

রানিগঞ্জ স্কুলপাড়ার বাসিন্দা তন্ময় পড়াশোনা করেছেন রানিগঞ্জ বয়েজ় হাই স্কুলে। তার পরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা। ২০১১ সাল থেকে কাজ করেছেন ভারতের অ্যাস্ট্রোনমি স্পেস টেলিস্কোপ অ্যাস্ট্রোস্যাট-এর উপরে। বর্তমানে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্স এবং অ্যাস্ট্রোফিজিক্স বিভাগের বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত। সেখানে নাসার ‘ফিউচার অ্যস্ট্রোনমিক্যাল স্পেস টেলিস্কোপ মিশন’-এ কাজ করছেন।

তন্ময় জানান, অ্যাস্ট্রোস্যাটের সিজ়েডটিআই যন্ত্র দিয়ে কৃষ্ণ গহ্বরের পোলারাইজ়েশন মাপা খুব কঠিন কাজ। এক্স-রে বা গামা রশ্মিতে পোলারাইজ়েশন মাপা বেশ শক্ত। এই কাজের পদ্ধতি তৈরি ও তার উন্নয়ন নিয়ে গত প্রায় ১২ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি। এই প্রথম তাঁরা এই কৃষ্ণ গহ্বরের পোলারাইজ়েশন বিশদে মাপতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালে অ্যাস্ট্রোস্যাট উৎক্ষেপণের পরে ওই কৃষ্ণ গহ্বর নিয়ে তথ্য আসছে। গত পাঁচ বছর ধরে সে তথ্য বিশ্লেষণ করেই ফল মিলেছে। ভবিষ্যতে এই ফলাফলের উপরে ভিত্তি করে কৃষ্ণ গহ্বরের জেট কী ভাবে তৈরি হয় এবং তাতে কী কী প্রক্রিয়া চলে, সে সব নিয়ে গবেষণায় সাফল্য মিলবে বলে আশাবাদী তন্ময়।

Advertisement

তন্ময়দের এই গবেষণার কথা আমেরিকার অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি প্রকাশিত পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। তাঁর কাজের জন্য ২০১৮ সালে তন্ময় অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া থেকেও পুরস্কৃত হয়েছিলেন। তাঁর মা বনানি চট্টোপাধ্যায় এখন আসানসোলে থাকেন। ছুটিতে মাঝে মধ্যে মায়ের কাছে আসেন তন্ময়। এলাকার ছেলের এমন কৃতিত্বে খুশি তাঁদের পড়শিরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement