প্রতীকী ছবি।
বাছাই শেষ। এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বায়ুসেনার চার পাইলটের মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার প্রশিক্ষণ শুরু হবে রাশিয়ায়। বুধবার বেঙ্গালুরুতে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র চেয়ারম্যান কে শিবন।
ইসরো-র খবর, ২০২১-২২ সালকে সামনে রেখে মহাকাশ অভিযানের ‘গগনযান’ পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু শিবনের এ দিনের বক্তব্যের পরে অনেকে মনে করছেন, ২০২০ সালেই অভিযান এগিয়ে আনা হতে পারে। এ বছর ভারতের তৃতীয় চন্দ্রাভিযানের (চন্দ্রযান-৩) পরিকল্পনা আছে। এ দিন শিবন জানান, দু’টি অভিযানের প্রস্তুতি চলবে পাশাপাশি। সূর্য অভিযান (‘আদিত্য-এল ১’) নিয়েও কোমর বাঁধছে ইসরো। সব মিলিয়ে চলতি বছরে ২৫টি অভিযান ও প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হবে।
ভারতীয় হিসেবে প্রথম মহাকাশে যান বায়ুসেনা অফিসার রাকেশ শর্মা। ১৯৮৪-র সেই যাত্রা ছিল মূলত তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার। এ বার ইসরো পুরোপুরি নিজেদের অভিযান করছে। ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরে প্রাথমিক ভাবে ১২ জন বায়ুসেনা পাইলটকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন পরীক্ষার পরে বাছাই করা হয়েছে চার জনকে। তাঁদের মধ্যে কে মহাকাশে যাবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। গোপনীয়তার স্বার্থে ওই চার জনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ভারতীয় মহাকাশচারীরা প্রাণহীন পরিবেশে ‘আর্টিফিসিয়াল সাপোর্ট’ বা কৃত্রিম ব্যবস্থাপনায় বেঁচে থাকা ও কাজকর্মের প্রশিক্ষণ নেবেন রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর স্মৃতি মুছে ফেলার পথ দেখালেন শান্তিনিকেতনের সোনা
২০১৯ সালে ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযানে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণ ব্যর্থ হয়েছে। ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চন্দ্রযান-৩ অভিযানে ফের চাঁদে অবতরণের চেষ্টা করবে ইসরো। অবতরণের ঠিক আগে বিক্রম ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিল। হাজারো চেষ্টা করেও তার সঙ্গে ফের যোগাযোগ করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। পরে নাসার ছবি বিশ্লেষণ করে চাঁদের মাটিতে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান দেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ষণ্মুগ সুব্রমনিয়ন। তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি শিবন জানান, অবতরণের সময় গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না-পেরে আছড়ে পড়েছিল বিক্রম। ইসরো সে-কথা জানতে পারলেও প্রতিষ্ঠানের নীতি মেনে ধ্বংসস্থলের ছবি প্রকাশ করেনি।