গোরস্থানে রেস্তরাঁ। ছবি: ইনস্টাগ্রামের ভিডিয়ো থেকে
ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এখন থিম রেস্তরাঁর রমরমা! কোনও রেস্তরাঁয় ঢুকলে মন হবে আপনি জঙ্গলে চলে এসেছেন কোনও রেস্তরাঁয় ঢুকলে আবার মনে হবে সমুদ্রের মাঝেই বসে আছেন আপনি। শুধু কি তা-ই বলিউড থিম রেস্তরাঁ, বিদেশের থিমে তৈরি রেস্তরাঁ, জলের মধ্যে ভাসমান রেস্তরাঁ আরও কত কী! রন্ধনশিল্প ক্ষেত্রে এখন খাবার নিয়ে যেমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না, রেস্তরাঁর অন্দরসজ্জাতেও উঠে আসছে অভিনব সব ভাবনা! ভোজনরসিক মানুষও সাধারণ রেস্তরাঁ ছেড়ে সেই সব রেস্তরাঁয় গিয়ে ভিড়ও জমাচ্ছেন! আপনিও কি থিম রেস্তরাঁর ভক্ত? আচ্ছা, মৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে বসে খাওয়ার সুযোগ হলে আপনি কি যাবেন? শুনতে অবাক লাগছে তো? আমদাবাদের একটি রেস্তরাঁয় গেলে এমন সুযোগ পাবেন আপনি। গোরস্থানের উপর তৈরি এই রেস্তরাঁয় জীবিত ও মৃত ব্যক্তির মধ্যে দূরত্ব খুব বেশি থাকে না।
‘হাংরি রুইজ়ার্স’ নামের একটি ইনস্টাগ্রামের পেজে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। সেখানেই আমদাবাদের ‘লাকি’ রেস্তরাঁর কথা জানানো হয়েছে। রেস্তরাঁর ঝলক দিয়ে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘‘৭২ বছরের পুরোনো এই রেস্তরাঁটি গোরস্থান ও কফিন ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।’’
রেস্তরাঁর কর্ণধার কৃষ্ণান কুট্টি একটি জমি কিনেছিলেন। তিনি জানতেই না ওই জমিটি আসলে গোরস্থান। তবে জানার পরেও তিনি সেই জমিতে রেস্তরাঁ খোলার সিদ্ধান্তে বদল আনেননি। লোহার গ্রিল দিয়ে ঘেরা কফিনগুলি। কফিনের চারপাশে যেটুকু বাড়তি জায়গা সেখানেই করা হয়েছে গ্রাহকদের জন্য বসার আয়োজন। প্রতিদিন রেস্তরাঁর কর্মীরা কফিনগুলি পরিষ্কার করেন, প্রত্যেকটি কফিনের সামনে টাটকা ফুলও রাখা হয়। কফিনের পাশে বসেই দিব্যি খাওয়াদাওয়া করেন গ্রাহকরা। আমদাবাদের এই রেস্তরাঁটি স্থানীয়দের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নেটিজ়েনরা চর্চা শুরু করেছন। এক জন লিখেছেন, ‘‘এখন অর্থ উপার্জনের জন্য মানুষ যা ইচ্ছে তাই করছে।’’ আর এক জন লিখেছেন, ‘‘যত ক্ষণ তাঁরা জেগে উঠে নিজের কফি চাইছেন না, তত ক্ষণ আমার কোনও আপত্তি নেই। ’’