অনেক সময় দেখা যায়, ঠান্ডায় রবারের মতো শক্ত হয়ে যায় সাধের পরোটা। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের সকালে আলুর দম আর পরোটা খেতে ভালবাসেন না এমন বাঙালি খুঁজে বার করা কঠিন। কিন্তু খেতে চাইলেই তো হল না। অনেক সময় দেখা যায়, ঠান্ডায় রবারের মতো শক্ত হয়ে যায় সাধের পরোটা। সকালে খেতে বসে যদি দাঁত দিয়ে সর্বশক্তি লাগিয়ে পরোটা ছিঁড়তে হয়, তবে জলখাবারের আমেজটাই মাটি। তাই পরোটা নরম তুলতুলে করতে নজর দিতে হবে রন্ধনশৈলীর দিকে। সাধারণ কিছু টোটকা জানা থাকলেই পরোটা হবে নরম তুলতুলে।
ময়দার বদলে আটা
যে কোনও রান্নার ক্ষেত্রে উপকরণের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বাংলায় পরোটা তৈরিতে ময়দা ব্যবহারের প্রচলন খুব বেশি। তবে পরোটা দীর্ঘ ক্ষণ নরম রাখতে গেলে ময়দা নয়, আটা দিয়েই পরোটা বানান। মাখার সময়ে তাতে দিন এক চামচ ঘি আর এক চিমটি নুন। পরিমাণ মতো ঈষদুষ্ণ জল দিন। এমন ভাবে মাখুন যাতে আটার ডেলা বেশি শক্ত বা বেশি নরম না হয়।
দুধ দিতে পারেন
পরোটা নরম করার আর একটি উপায় হল কিঞ্চিৎ গরম দুধ দিয়ে আটা মাখা। চাইলে দুধের বদলে দই দিয়েও মাখতে পারেন। তবে দই যেন ঘরের উষ্ণতায় থাকে। পরোটা তৈরি করার পর যদি অনেক ক্ষণ রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকে তবে এই টোটকা দারুন কার্যকর। দুধ দিয়ে মাখা আটার পরোটা দ্বিতীয় বার গরম করলে সহজেই ফের নরম হয়ে যায়।
ঢেকে রাখুন
আটা মাখা হয়ে গেলে অন্তত ১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। তবে যে কোনও ঢাকা দিয়ে ঢাকলে হবে না। ভিজে কাপড় দিয়ে ঢাকতে হবে মেখে রাখা আটা।
বেলার সময়ে
পরোটা হবে রুটির থেকে অল্প মোটা। রুটির মতো পাতলা করে বেলে ফেললেই মুশকিল। রান্নার পর শক্ত হয়ে যাবে পরোটা। লেচি বানানোর সময়ে এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন। বেলার সময়ে আর একটি কাজ করতে হবে। পরোটার প্রতি ভাঁজে সামান্য ঘি দিয়ে বেলুন।
ভাজার সময়ে
কী ভাবে ভাজছেন, তার উপরেও নির্ভর করে পরোটা কতটা নরম হবে। তাওয়া বেশি গরম করে নিন প্রথমে। তার পর আঁচ কমিয়ে পরোটা ভাজা শুরু করুন। ভাজতে গিয়ে কোথাও কালচে দাগ পড়ছে মনে হলেই সেখানে এক ফোঁটা ঘি বা তেল দিয়ে দিন।