পোস্তর উপকারিতা অনেক। ছবি: সংগৃহীত।
পকেটের তাড়নায় পোস্তকে প্রায় বাতিলের খাতাতেই ফেলতে হচ্ছে। বিউলির ডালের সঙ্গে এক বাটি ঝাল ঝাল পোস্তর স্বাদ ভুলতে বসেছেন অনেকেই। আর গরম ভাতে পোস্ট বাটা? সে স্বাদের কোনও তুলনাই হবে না। সর্ষের তেল, পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি দিয়ে পোস্ত বাটার স্বাদ যেন অমৃত। একটা সময়ে নিরামিষের দিন মা-ঠাকুমারা পোস্তর বড়া করতেন। এখন দামের ভারে পোস্তর বড়া আর তেমন ভাবে হয় কোথায়! ঘটি হোক বা বাঙাল, পোস্ত ভালবাসেন না এমন মানুষ কমই আছেন। আলু পোস্ত, পেঁয়াজ পোস্ত, ডাঁটা পোস্ত তো বটেই, পোস্ত দিয়ে মাছেরও হরেক রকম পদ হয়। যত দিন যাচ্ছে, পোস্তর দামে যেন ছ্যাঁকা লাগছে। তাই পোস্তর বিকল্পই খুঁজে নিচ্ছেন অনেকে। পুষ্টিবিদেরা কিন্তু বলছেন, স্বাদে হোক বা পুষ্টিগুণে পোস্তর কোনও বিকল্প হবে না। শরীর-স্বাস্থ্য থেকে ত্বকের যত্ন, সবেতেই পোস্তর উপকারিতা বলে বোঝানোর নয়।
রোগব্যধির দাওয়াই পোস্ত
পোস্ততে ভরপুর মাত্রায় রয়েছে ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, আয়রন-সহ একাধিক প্রয়োজনীয় উপাদান। সবকটি খনিজই শরীরের পক্ষে জন্য উপকারী। তা ছাড়া পোস্ত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ দূরে থাকে।
ব্যথা কমায়
পোস্ত ব্যথাবেদনা কমাতে পারে। এখনকার দিনে তো হাঁটু-কোমরের ব্যথায় নাজেহাল বহু মানুষ। পুষ্টিবিদেদের মতে, পোস্তয় এমন উপাদান রয়েছে যা ব্যথানাশক। পাশাপাশি, পোস্ত খেলে অনিদ্রার সমস্যাও দূর হয়।
হজমশক্তি বাড়ায়
পোস্ততে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পোস্ত দানার ফাইবার পরিপাক তন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া সংখ্যা বাড়ায়। বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে।
আলসার প্রতিরোধ করে
পোস্ত খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। পোস্ততে ওলেইক অ্যাসিড ও লিনোলেইক অ্যাসিড নামে দু’রকম এসেনশিয়াল অয়েল রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী। মুখগহ্বরের ক্ষত, আলসারের মতো সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে পোস্ত।
সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়
পোস্তর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বিভিন্ন সংক্রমণ জনিত অসুখের ঝুঁকি কমাতে পারে। পোস্ততে থাকা উপাদান রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। রক্তাল্পতার ঝুঁকিও কমায় পোস্ত।