লাউ দিয়ে বানাতে পারেন মুখরোচক খাবার। ছবি: সংগৃহীত।
লাউ শুনলেই খুদের মুখটি বেজায় ব্যাজার হয়। পাতে থাকলে তো লঙ্কাকাণ্ড বাঁধার উপক্রম হয়। তবে শুধু খুদেকে দুষে লাভ নেই। বড়রাও যে সোনামুখ করে লাউ খান, তাও নয়। লাউয়ের প্রতি সকলের এত বিরাগ থাকা সত্ত্বেও এই সব্জিটি শরীরের যথেষ্ট খেয়াল রাখে। লাউয়ে জলের পরিমাণ এত বেশি যে, শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হতে দেয় না। তা ছা়ড়া উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের লাউ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। চচ্চড়ি কিংবা ঘণ্ট যদি খেতে ইচ্ছা না করে, তা হলে লাউ দিয়ে অন্য খাবারও বানিয়ে নিতে পারেন।
লাউয়ের পরোটা
পরোটার নাম শুনলে মুখে হাসি ফুটে। লাউ দিয়ে বানালে শরীরও ভাল হবে। লাউ সেদ্ধ করে ময়দার সঙ্গে মেখে নিন। তার পর লেচি বানিয়ে পরোটার মতো করে বেলে তেল অথবা ঘিয়ে ভেজে নিন। লাউয়ের পরোটার সঙ্গে অন্য তরকারি না খেলেও চলবে।
লাউয়ের ফ্রিটার্স
সন্ধ্যাবেলায় চায়ের সঙ্গে একটু মুচমুচে খাবার খেতে ইচ্ছা করে। নিমকি, চানাচুর আর চপ-শিঙাড়া না খেয়ে বরং লাউ দিয়ে বানাতে পারেন ফ্রিটার্স। বাড়িতে এয়ার ফ্রায়ার থাকলে আরও সুবিধা। তেলেও ভাজতে হবে না। তার পর মেয়োনিজে মাখিয়ে মুখে পুরলে মন এবং পেট দুই-ই আনন্দে ভরে যাবে।
কোফতা
মাংসের কোফতা তো খেয়েছেন, স্বাদ বদলে একটু লাউয়ের কোফতা চেখে দেখবেন নাকি? লাউ সেদ্ধ করে তার সঙ্গে বেসন এবং অন্যান্য মশলা মেখে কোফতার আকারে গড়ে নিন। তার পর কোফতাগুলি ডোবাতেলে ভেজে নিয়ে মাংসের মতো করে রান্না করুন। লাচ্ছা পরোটা কিংবা রুটির সঙ্গে বেশ লাগবে।