আজই বাড়িতে বানান মেক্সিকান রাইস।
করোনা আবহে আমরা অনেক কিছুর সঙ্গেই মানিয়ে নিতে শিখেছি। রেস্তরাঁর খাবারের বদলে বাড়িতে রান্না পুষ্টিকর খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্যে করে একথাও ঠিক। শাক-সব্জিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে সাহায্য করে। পালং শাক, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, ক্যাপসিকাম, কাঁচালঙ্কা ও সামান্য পার্সলে দিয়ে মেক্সিকান স্টাইলে রান্না করা গ্রিন রাইস বা সবুজ ভাত একদিকে দারুণ মুখরোচক, অন্যদিকে পুষ্টিতে ভরপুর। সবুজ ভাতের সঙ্গত টকটকে লাল রঙের টোম্যাটো সালসা। ঝটপাট রান্না হবে সেটিও। আসলে মেক্সিকোর অধিবাসীরা যে ভাত খান, তা কিন্তু আমাদের মত সাদা ভাত নয়। নানা সবজি, মশলা, চিকেন বা ডিম দিয়ে বানানো মেক্সিকান রাইস নিজেই এক সম্পূর্ণ খাবার। ডাল, ঝোল বা তরকারি ছাড়াই জমিয়ে খাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ভাতটি নিরামিষ। এক নজরে রইল রেসিপি।
মেক্সিকান গ্রিন রাইস
উপকরণ –
কামিনী আতপ বা গোবিন্দভোগ চাল – ২০০ গ্রাম,
পালং শাক কুঁচি – ১ কাপ,
ধনে পাতা, পার্সলে, কাঁচা লঙ্কা (৪/৬টা) কুঁচি – ১ কাপ,
রসুন – ৮/১০ কোয়া
পেঁয়াজ কুঁচি – বড় কাপের এক কাপ,
অলিভ অয়েল বা সাদা তেল – ৩/৪ চামচ,
চিকেন স্টক বা ভেজিটেবল স্টক – ১ কাপ,
নুন – স্বাদ অনুযায়ী,
চিনি – সামান্য
সাজানোর জন্যে
পাতিলেবুর স্লাইস, পেঁয়াজের রিং, কাঁচা লঙ্কা ও অল্প পার্সলে
প্রণালী -প্যানে সামান্য অলিভ অয়েল গরম করে সামান্য রসুন ও কাঁচালঙ্কা কুঁচি ফোড়ন দিয়ে চাল ভাল করে নেড়ে ভেজে রাখুন। পালং শাক গরম প্যানে নেড়ে সবুজ থাকতে থাকতে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবারে চিকেন স্টক বা ভেজিটেবল স্টক দিয়ে সব শাক একসঙ্গে ব্লেন্ড করে রাখুন। আর একটি প্যানে তেল দিয়ে রসুন ও পিঁয়াজ লালচে করে ভেজে নিন। আগে থেকে ভেজে রাখা চাল দিয়ে আবারও নেড়ে চেড়ে ব্লেন্ড করা শাক ও অল্প জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হয়ে এলে বাকি শাক দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে নিয়ে নামিয়ে নিন। গ্রিন রাইস রেডি, লেবু, লঙ্কা ও পেঁয়াজের রিং সাজিয়ে সালসা দিয়ে পরিবেশন করুন।
টোম্যাটো সালসা স্বাদে লা জবাব
টোম্যাটো সালসা –
৩/৪ টি লাল টোম্যাটো গোটা অবস্থায় তেলে নেড়ে নিন। ঠান্ডা হলে টুকরো করে কেটে নিয়ে এই ইঞ্চি আদা, ৫/৬ কোয়া রসুন, লাল লঙ্কা, গোলমরিচ, নুন ও চিনি দিয়ে ভাল করে বেটে নিন। তৈরি টক-ঝাল-মিস্টি টোম্যাটো সালসা। মেক্সিকান রাইস ছাড়াও যে কোনও খাবারের সঙ্গে দারুণ জমে যাবে।
টোম্যাটোতে থাকা লাইকোপেন এবং পালং, ধনেপাতা, পার্সলে, কাঁচালঙ্কা ও রসুনেও আছে অজস্র অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং নানা মিনারেলস। পার্সলে আবার পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। এতে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম। এছাড়া টোম্যাটো ও শাকে আছে পর্যাপ্ত ফাইবার। এই সবই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করতে সাহায্যে করে। আর এই গ্রিন রাইস খেতেও অত্যন্ত স্বাদু। ইচ্ছে হলে গ্রিন রাইসের ওপর ডিমের পোচ সাজিয়েও পরিবেশন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে নিরামিষ রাখায় ব্যবহার হয়নি ডিম।