পুজোর ক’দিন খাবারে বেশ অনিয়ম হল বইকি। তাই এখন তেল মশলাদার খাবার একেবারেই ‘নৈব নৈব চ’। পুজোতে ডায়েটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রোজই চলেছে কব্জি ডুবিয়ে ভূরিভোজ। চিকেন, মাটন, ডিম বাদ পড়েনি কিছুই। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশ উঁকি দিয়ে তার জানান দিচ্ছে ভালই। বাড়িতে তাই হালকা রান্না করবেন ভাবছেন অথচ পাতলা ট্যালটেলে ঝোল মুখে রুচছে না কারও।
বাঙালির রোজকার লাঞ্চ কিংবা ডিনারে ডাল থাকাটা মাস্ট। কেউ কেউ খাবারের শুরুর পাতে ডাল খেলেও অনেকেই ডাল খান একেবারে শেষ পাতে। তবে রোজের পাতলা ডাল-ভাতের বদলে যদি পাতে পড়ে ডালের চচ্চড়ি তা হলে কেমন হয়? হয়েতো ভাবছেন চচ্চড়ি তো সব্জির শুনেছেন, মাছের শুনেছেন তবে ডালের চচ্চড়ি সে আবার হয় না কি! আলবাত হয়।
ডালের এই রেসিপি কেবল ভাতের সঙ্গেই নয় রুটি কিংবা পরোটার সঙ্গেও জমবে ভালই। স্বাদ বদল করতে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন এই সহজ রেসিপি। সামান্য কয়েকটি উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন এই পদ।
আরও পড়ুন: ডায়াবিটিক? বাড়িতেই তৈরি করুন কম মিষ্টির এই খাবার
আরও পড়ুন: এমন চিজ কর্ন বলের মুচমুচে স্বাদে জমে যাবে চায়ের আসর
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
প্রণালী:
মুসুর ডাল ভাল করে ধুয়ে নিয়ে আধ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। আবার কড়াইতে তেল নিয়ে তাতে গোটা গরম মশলা, তেজপাতা আর শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। এর পর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়াচড়া করুন। পেঁয়াজ লালচে হয়ে এলে রসুন বাটা আর টম্যাটো কুচি যোগ করুন। এর পর সব শুকনো মশলা একে একে যোগ করে ভাল করে কষিয়ে নিন। এ বার জল ঝরানো ডাল কড়াইতে দিয়ে মিশিয়ে নিন। এর পর সামান্য জল দিয়ে অল্প আঁচে ঢেকে রান্না করুন। প্রয়োজন হলে আর একটু জল দিতে পারেন। তবে লক্ষ রাখবেন রেসিপিটি যেন মাখোমাখো হয় আর ডাল যেন একেবারে গলে না গিয়ে একটু দানা দানা থাকে। রান্না হয়ে গেলে উপরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন ডাল চচ্চড়ি।