শিঙাড়ার সঙ্গে বাঙালির সখ্য আজও অমলিন। ছবি: শাটারস্টক।
লকডাউনে বাইরে বেরনো বারণ। বাইরের খাবার তো রীতিমতো নিষিদ্ধ। তবু তাতে মন সায় দেয় কই? খিদেই বা কমে কোথায়? বিকেলের রোল-চাউমিন বন্ধ তো কী! ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন রাস্তার খাবার। বরং তাতে খারাপ তেল, বেশি মশলার ভয় নেই, অথচ মুখরোচক খাবার পাতে পড়াটুকু নিশ্চিত।
লকডাউনের সময় উপকরণও সহজ হতে হবে। এমন কিছু পদ চাই যা বানাতে খুব ঝুটঝামেলা নেই। সহজে মিলবে সব উপকরণও। বাঙালির শিঙাড়া যেমন! যেমন স্বাদ, তেমন বানানোও সহজ। আজকাল মিষ্টির দোকান কিছু সময়ের জন্য খুললেও শিঙাড়া কেউই প্রায় বানাচ্ছেন না। তাই বাড়িতেই তারি করে ফেলতে পারেন এই পদ।
কোন কোন উপকরণ আর কী পদ্ধতিতে মুচমুচে শিঙাড়া বানাবেন, রইল তার হদিশ।
আরও পড়ুন: আর রেস্তরাঁয় নয়, মোমো হবে বাড়ির হেঁশেলেই!
উপকরণ
বাইরের খোলের জন্য
ময়দা: একটি বড় কাপ
ঘি: ২ টেবল চামচ
কালো জিরে: সামান্য
গরম জল (মাখতে প্রয়োজন)
পুরের উপকরণ
সেদ্ধ আলুর টুকরো: এক কাপ
কড়াইশুঁটি ভাপানো: আধ কাপ
কাজুর টুকরো: দেড় চা চামচ
কিশমিশ কুচি: দেড় চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: স্বাদ অনুযায়ী
গরমমশলা গুঁড়ো: এক চাচামচ
জিরে-ধনে মিশিয়ে ভাজা মশলা: সামান্য
আদাকুচি: আধ চা চামচ
ধনেপাতা: সামান্য
নুন ও মিষ্টি: স্বাদ অনুযায়ী
ভাজার জন্য সাদা তেল
আরও পড়ুন: বেগুনের ভাজা, ভর্তা ছেড়ে এ বার দইয়ের সঙ্গে মাখিয়ে রেঁধে ফেলুন এই অপূর্ব পদ!
পদ্ধতি
প্রথমে ময়ান দিয়ে ময়দা মেখে নিন। ময়দায় অল্প কালো জিরে মেশালে স্বাদ বেশ খোলতাই হয়। মাখা ময়দা কাপড় চাপা দিয়ে সরিয়ে রাখুন। এ বার কড়ায় সাদা তেল দিয়ে গরম করুন। তেলে জিরে ও ধনে ফোড়ন দিন। ফোড়নের গন্ধ বেরলে তাতে আদাকুচি ফেলুন। এ বার ওই তেলে আলু, কড়াইশুঁটি, কিশমিশ, কাজু মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। এ বার তাতে নুন-মিষ্টি দিয়ে ভাল করে কষে নিন। তরকারি তৈরি হলে এ বার ময়দা থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে তা বেলে নিন।
ওই গোল আকারের বেলা ময়দা থেকে ছুরি দিয়ে অর্ধেক করে কেটে নিন। এ বার ওই অর্ধচন্দ্রাকৃতি ময়দাকে আঙুলের সাহায্যে পাকিয়ে শঙ্কুর আকারে গড়ুন ও ভিতরের ফাঁকা অংশে পুর ভরে নিন। জলহাত করে শিঙাড়ার মুখটা বন্ধ করুন। এ বার ওই তিন কোনা শিঙাড়া ছাঁকা তেলে ভেজে নিন। চা বা মুড়ির সঙ্গে বিকেলে বাড়ির সকলের সঙ্গে আড্ডাও জমে যাবে।