রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে পাতে রাখুন এই স্যালাড। ছবি: প্রতিবেদকের
শুধু মাছই নয় শেষ পাতে মিষ্টি না হলেও মনটা কেমন তেতো হয়ে যায়। কিন্তু দোকানের মিষ্টি সে যতই স্যানিটাইজ করে বানানো হোক না কেন মনে একটা কিন্তু কিন্তু ভাব থেকে যেতে পারে। তার সঙ্গে গাদা খানেক চিনির বাড়তি ক্যালোরি খেয়ে ফেলার একটা পাপ বোধও কাজ করে। আজকে এমনই এক মেনুর হদিস থাকবে যা পহলে দর্শনধারী, গুণের তো তুলনাই নেই, আবার স্বাদের দিক থেকে লা জবাব। মিষ্টি প্রেমীরা হতাশ হবেন না একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। কোভিড ১৯ কবে শেষ হবে জানা নেই, তাই খাওয়া দাওয়ার সঙ্গে কোনও বোঝাপড়া নয়।
নভেল করোনা ভাইরাসকে পিছু হঠাতে গেলেও দই মধু সহযোগে টাটকা ফলের স্যালাড অতুলনীয়। আনারস, আপেল, পেঁপে, তরমুজের সঙ্গে বাইরে থেকে আমদানিকৃত ফল বা কেত সহযোগে বললে এক্সোটিক ফ্রুট কিউই বা ড্রাগন ফ্রুটের মেল বন্ধনে এই স্যালাড বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন চটপট। শেষ পাতে হোক বা জল খাবারে দারুণ জমে যাবে।
ডায়েটিশিয়ান ইন্দ্রাণী ঘোষ জানালেন,আপেল, কলা, লেবুর পরিবর্তে বাড়িতে পাতা দই সহযোগে ফ্রুট স্যালাড এক দিকে যেমন সুস্বাদু অন্যদিকে অত্যন্ত উপকারিও বটে। এমনিতেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ফলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জবাব নেই, অন্যদিকে এর সঙ্গে দই মেশানোয় পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফলেট, পটাসিয়াম সমৃদ্ধ এই স্যালাড ছোট থেকে বড় সবারই ভাল লাগবে।
উপকরণ – (৪ জনের জন্যে)
টুকরো করা আনারস – ১ কাপ,
পাকা পেঁপের টুকরো – ১ কাপ,
আপেলের টুকরো (খোসা সহ) – ১ কাপ,
তরমুজ কিউব করে কাটা – ১ কাপ,
কলা – টুকরো করা – ১ কাপ,
কিউই –ফালি করে কাটা ২ টি,
দই ফেটিয়ে রাখা – ১ কাপ,
বিট নুন – সামান্য,
মধু – ৩ বড় চামচ,
পাতিলেবুর রস – ১ চামচ,
গোল মরিচ গুঁড়ো করা – ২ চামচ,
কাজু, কাঠবাদাম জাতীয় ড্রাই ফ্রুট (না দিলেও চলে) – আধ কাপ
পুদিনা পাতা ও চেরি – সাজানোর জন্যে
প্রণালী: বড় কাচের পাত্রে সব ফল একসঙ্গে মিশিয়ে লেবুর রস, বিট নুন ও মধু দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। বড় কাঠের চামচ দিয়ে মেশালে ফল ভেঙে যাবে না।
এবারে ফেটানো দইয়ে গুঁড়ো করা গোলমরিচ ও মধু মিশিয়ে আর একবার ফেটিয়ে রাখুন। দই ফলের টুকরোয় মাখিয়ে নিন। এবার পছন্দের পাত্রে তুলে ফ্রিজে ঠান্ডা করে ড্রাই ফ্রুটস/ পুদিনা পাতা ও চেরি সাজিয়ে পরিবেশন করুন।