বর্ষার মরসুমে আচার দিয়ে মুড়ি মাখায় জমে উঠুক সন্ধ্যা। ছবি: সংগৃহীত।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর ঠান্ডা হাওয়া মাখা সন্ধেবেলায় চায়ের সঙ্গে যদি মুড়ি, চানাচুর মাখা থাকে, তাহলে সমস্ত মনখারাপ কেটে যাতে বাধ্য। বর্ষার এমন উদ্যাপন আরও খানিক উস্কে দিতে পারে আচার। টক-ঝাল-মিষ্টি আচার দিয়ে মুড়ি মাখলে জমে যাবে। পরোটা সঙ্গে হোক কিংবা শেষ পাতে অনেকেরই আচার ছাড়া চলে না। তবে বর্ষায় আচার ভাল রাখা কিন্তু সহজ নয়। সঠিক যত্ন না নিলে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ছত্রাক ধরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কী ভাবে যত্ন নিলে বর্ষাতেও ভাল রাখা যাবে আচার?
বর্ষায় আচারের বয়ামটিকে মাঝেমাঝে রোদে দিন। ছবি: সংগৃহীত।
১) বর্ষায় আচার ভর্তি বয়ামের ঢাকনাটা মাঝেমাঝেই খুলে রোদে দিন। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় আচার সারা ক্ষণ বয়ামবন্দি করে রাখলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আচার খারাপও হয়ে যেতে পারে। অবশ্য এই মরসুমে রোদের দেখা পাওয়া মুশকিল। তবে যখনই রোদ উঠবে মনে করে আচারের বয়ামটি বারান্দায় রাখতে ভুলবেন না।
২) আচার ভাল রাখার জন্য আচারে বেশি করে তেল ব্যবহার করুন। আচারের উপর তেলের আস্তরণ যেন থাকে। তেল আচারে বাতাস ঢুকতে বাধা দেয়। এতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাক্টেরিয়া টিকতে পারে না।
৩) আচার ভাল রাখতে ব্যবহার করতে পারেন ভিনিগার। তবে পরিমাণমতো নুনও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই দু’টিই আচারের স্বাদ এবং গন্ধ নষ্ট হতে দেয় না। নুন হোক কিংবা ভিনিগার অল্প পরিমাণে আচারের উপর ছড়িয়ে দিলে ভাল থাকবে দীর্ঘ দিন।
৪) আচার কি প্লাস্টিকের পাত্রে রেখেছেন? তা হলে এখনই বদলে কাচের বয়ামে রাখুন আচার। প্লাস্টিকের পাত্রে রাখলে বর্ষাতে আচার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাচের পাত্রে ঢেলে রাখার আগে বয়ামটি ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন।
৫) আচারের কৌটো ফ্রিজে রাখতে পারেন। তবে খাওয়ার সময় বার করলেও বেশি ক্ষণ বাইরে ফেলে রাখবেন না। তাতে আবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন আবহাওয়ায় রাখলে নানা ব্যাক্টিরিয়া বাসা বাঁধতে পারে।