গরমে ‘আইসড টি’ তে দিন চুমুক, ঠান্ডা হবে শরীর। ছবি: সংগৃহীত।
সকালবেলা গরম চায়ে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন শুরু হয় না। তবে গরমের দিনে সকালের চা বাদ দিলে মন চায় ঠান্ডা ঠান্ডা কিছু। স্বাস্থ্যের কথা ভাবলে বাদ যাবে যে কোনও কার্বোনেটেড পানীয়। তবে সেই তালিকায় গরমের বদলে জুড়তে পারে বরফ চা বা আইসড টি।
ঠান্ডা এই চায়ে চুমুক দিলেই জুড়িয়ে যায় মন প্রাণ। শুধু কি তাই! ‘আইসড টি’-র গুণও তো কিছু কম নয়। রকমারি বরফ চায়ে উপকরণ, অনুযায়ী বিভিন্ন গুণ। ত্বক ভাল রাখা থেকে শরু করে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমানো, চিন্তা কমানো অনেক কাজই হতে পারে ঠান্ডা চায়ে চুমুক দিলে।
জেনে নিন গরম কালে কী ভাবে উপভোগ্য হয়ে উঠতে পারে ‘আইসড টি’।
বেরি আইসড টি
বেরি জাতীয় সব ফলই পুষ্টিগুণে ভরা। এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ব্লু বেরি, ব্ল্যাক বেরি একটি পাত্রে জল দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। দিয়ে দিন চিনি। ভাল করে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। আার একটি পাত্রে গরম জলে টি-ব্যাগ দিয়ে সেটা ঠান্ডা করার পর কয়েক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। এ বার একটি কাচের গ্লাসে বেরি ফুটিয়ে রাখা তরলের সঙ্গে ফ্রিজে রাখা চা মিশিয়ে কয়েকটি বরফ কুঁচি যোগ করলেই তৈরি হয়ে যাবে বেরি আইসড টি।
সিনেমন বেরি আইসড টি
জলে ফুটিয়ে নিন দারচিনির টুকরো। বেশ কিছু ক্ষণ ফোটানোর পর গ্যাস বন্ধ করে তাতে ফেলে দিন চায়ের ব্যাগ। মিশ্রনটা ছেঁকে ঠান্ডা করে নিন। একটি কাচের তা ঢেলে যোগ করুন আপেলের ঠান্ডা রস। মিশিয়ে দিন কয়েক কুঁচি বরফ। দারচিনি ও আপেলের রসের গুণে ঠান্ডা চা হয়ে উঠবে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।
কোকোনাট আইসড টি
নারকেলের জল গরমকালে পেট ঠান্ডা করে। এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ শরীরের জন্য খুবই ভাল। এই নারকেলের জল দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যা বরফ চা। নারকেলের জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ঠান্ডা গ্রিন টি। স্বাদ ও গুণ বাড়াতে মিশিয়ে দিনছোট কুঁচি করে কাটা আনারস। আর অতি অবশ্যই বরফের টুকরো।
গরমে গলা ভেজানোর পাশাপাশি আইসড টি খেলে শরীরও থাকবে ঠান্ডা।