অজান্তেই কিছু ভুল অনেকে করে ফেলেন, খাবার তৈরির সময় যেগুলি এড়িয়ে চলাই দস্তুর। ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে বেরোনোর আগে, ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে কিংবা বাচ্চাকে স্কুল পাঠানোর সময় চটজলদি রান্না করতে হয় বটে, তবে রন্ধন কিন্তু একেবারেই তাড়াহুড়োর শিল্প নয়। বরং রান্নার সময় শান্ত, স্থির এবং মনোযোগী হওয়া জরুরি। রান্নার সময় শুধু রান্নার সমস্ত উপকরণ গুছিয়ে নিলেই হবে না, আরও কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। অজান্তেই কিছু ভুল অনেকে করে ফেলেন, খাবার তৈরির সময় যেগুলি এড়িয়ে চলাই দস্তুর। নয়তো এই ধরনের ভুলের মাসুল গুনতে হতে পারে অসুস্থ হয়ে।
রান্নার সময় বাসন ধোবেন না
রান্নাঘরে একশোটা কাজ থাকে। কোনটা ছেড়ে কোনটা করবেন, তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। তাই একটা কাজ করতে করতেই অন্য কাজে হাত লাগাতে হয়। তবে রান্না করতে করতে কখনও বাসন মাজবেন না। বাসন মাজার সাবানে রাসায়নিক থাকে। যা কোনও ভাবে খাবারে মিশলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার চেয়ে ধাপে ধাপে কাজ শেষ করুন। দরকার হলে আগে বাসন পরিষ্কার করে তবে রান্না শুরু করুন।
ভোঁতা ছুরিতে সব্জি কাটা
অনেক দিন ধরে ব্যবহার করার ফলে ছুরির ধার কমে যায়। ভোঁতা ছুরিতে সব্জি কাটার কিছু অসুবিধা রয়েছে। একে তো দেরি হয়ে যায়, সব্জি কাটতে অনেকটা সময় লাগে। অন্য দিকে টুকরোগুলিও সমান মাপে হয় না। ছোট-বড় হয়ে যায়। অসমান মাপে কাটা সব্জি দিয়ে রান্না করলে তার স্বাদ ভাল হয় না। সঠিত পুষ্টিগুণও মেলে না। তাই ছুরি ভোঁতা হয়ে গেলে শান দেওয়া জরুরি।
আবর্জনা ফেলার ব্যাগ না থাকা
সব্জির খোসা, মাছের আঁশ, ডিমের খোলা-- রান্নার সময় এই ধরনের আবর্জনাগুলি সব সময় একটা জায়গায় জমা করা উচিত। এদিক-ওদিক ছড়িয়ে গেলে নিজেকেই মুশকিলে পড়তে হয়। তা ছাড়া খাবার তৈরির চৌহদ্দির মধ্যে আবর্জনা থাকাও একেবারেই কাম্য নয়। তাই হাতের সামনে একটা ব্যাগ রাখুন। যার মধ্যে সমস্ত সব্জির খোসা এবং অন্যান্য ময়লা ফেলুন।