পুজোয় ভূরিভোজে লুচিতে থাকুক একটু ‘টুইস্ট’। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো মানেই তো জমিয়ে ভূরিভোজ। সারা বছর ডায়েটের মধ্যে থাকলেও দুর্গাপুজোর ক’দিন পেটপুজো না করলেই নয়। প্রাতরাশ থেকেই শুরু হয়ে যায় ভোজের ফরমায়েশ। ছুটির দিনে সকালের জলখাবারে একটু লুচি না খেলে মনটা ঠিক ভরে না। আর পুজোর মাঝে লুচি দিয়ে মাংস খাওয়াটাও মাস্ট।
উৎসবের মরসুমে খাওয়াদাওয়ায় একটু চমক না থাকলেই নয়। আর লুচিতেও যদি একটু টুইস্ট আনা যায়, তা হলে তো কথাই নেই। ময়দার সাদা লুচি এক দিন পুজোর ভোজে রাখলেও বাকি দিনগুলি লুচি বানিয়ে ফেলুন একটু ভিন্ন কায়দায়। রইল তেমনই কিছু রেসিপি।
মশলা মুগ পুরি: আগের দিন রাতে মুগ ডাল ভিজিয়ে রাখুন। রান্নার আগে মুগ ডাল বেটে নিন। এ বার একটি বড় পাত্রে ১ কাপ মুগ ডাল বাটা, দু’ কাপ আটা, ২ টেবিল চামচ সুজি, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, গরমমশলা গুঁড়ো, কসৌরি মেথি, নুন আর জল দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। মণ্ড তৈরি হয়ে গেলে মণ্ডের গায়ে তেল মাখিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন সুতির কাপড়ে ঢেকে। তার পর লুচির মতো লেচি কেটে ডুবোতেলে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মশলা মুগ পুরি। ঝাল ঝাল আলুর দমের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
পালং লুচি: একটি পাত্রে ১ কাপ আটা, ২ টেবিল চামচ সুচি, আধ কাপ পালংশাক বাটা, ১ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা, ১ চা চামচ কাঁচালঙ্কা বাটা, আধ চা চামচ জোয়ান, আধ চা চামচ ধনেগুঁড়ো, আধ চা চামচ জিরেগুঁড়ো, নুন আর পরিমাণ মতো জল দিয়ে মণ্ড তৈরি করে নিন। এ বার লুচির মতো লেচি কেটে ডুবোতেলে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পালং পুরি। ধনিয়া আলু কিংবা ধনিয়া মুর্গের সঙ্গে জমবে ভাল পালং পুরি।
আলু পুরি: একটি পাত্রে ৩টি আলু সেদ্ধ, নুন, ভাজা জিরের গুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, কসৌরি মেথি, আমচুর গুঁড়ো, ধনেপাতা কুচি আর আটা ভাল করে মেখে নিন। মণ্ডের গায়ে তেল মাখিয়ে মিনিট দশেক ঢেকে রাখুন। ছোট ছোট মাপের লেচি কেটে ডুবো তেলেভেজে নিন। কষা আলুর দম কিংবা ধনেপাতার চাটনির সঙ্গে দারুণ জমবে গরমাগরম আলু পুরি।