প্রতীকী ছবি।
বৃষ্টির মরসুম। মাঝেমাঝে একনাগাড়ে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। এমন আবহাওয়ায় জলকাদা ডিঙিয়ে রাস্তায় বেরোতে ইচ্ছা করে না। বরং বৃষ্টি দেখতে দেখতে বাড়িতেই আয়েস করতে মন চায়। আর বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হতেই গরম ধোঁয়া ওঠা চায়ের সঙ্গে মুখরোচক কোনও খাবার খেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু চায়ের সঙ্গে কী ‘টা’ খাওয়া যেতে পারে, সেটা ভাবতেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। তত ক্ষণে খিদে উধাও। বর্ষায় অনলাইনে অর্ডার করলেই খাবার পাওয়া যায় না। খাবার আসতেও বহু দেরি হয়। অনেক সময় ডেলিভারিও বন্ধ থাকে। এত ঝক্কিতে না গিয়ে বাড়িতেই কিছু বানিয়ে নিতে পারেন। তাড়াতাড়ি বানিয়ে নেওয়া যায় এমন কোন খাবারগুলি চায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধতে পারে?
পেঁয়াজ পকোড়া
বর্ষায় পাড়ার দোকানের পেঁয়াজি না খেয়ে বরং হেঁশেলেই বানিয়ে নিতে পারেন। উপকরণ বলতে পেঁয়াজ, বেসন, আর লঙ্কাকুচি। বেশি সময়ও লাগবে না। তবে ডোবা তেলে না ভাজলেই ভাল। বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় চা, মুড়ি আর পেঁয়াজের পকো়ড়া জমে যাবে।
পাউরুটির চপ
আলুর চপ কিংবা বেগুনির বদলে অন্য কিছু খেতে চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন পাউরুটির চপ। অনেকের ফ্রিজেই পাউরুটি থাকে। আলু সেদ্ধ করে ধনেপাতা এবং ভাজা কিছু মশলা দিয়ে পুর বানিয়ে পাউরুটি মাঝে ভরে বেসনের ব্যাটারে ডুবিয়ে তেলে ভেজে নিন। শসা, পেঁয়াজ আর সস্ দিয়ে খেতে মন্দ লাগবে না।
ভেলপুরি
ইদানীং সকলেই প্রায় স্বাস্থ্যসচেতন। চপ, শিঙাড়া থেকে সচেতন ভাবেই দূরে থাকেন অনেকেই। তাই বলে বৃষ্টির দিনে কি শুধু চায়ের কাপে চুমুক দেবেন? মুড়ি, চানাচুর, ধনেপাতা, পাপড়ি, চাটনি দিয়ে ভেলপুরি বানিয়ে নিতে পারেন।
ভুট্টার চাট
বৃষ্টির দিনে ভুট্টাও রাখতে পারেন মুখরোচক খাবারের তালিকায়। ভুট্টার দানাগুলি সেদ্ধ করে টম্যাটো, লঙ্কা, ধনেপাতা, পেঁয়াজকুচি, চাটমশলা অল্প টক জল দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। টক-মিষ্টি স্বাদের এই চাট বর্ষার সন্ধ্যার উপযুক্ত জলখাবার হতে পারে।