ছবি: সংগৃহীত।
শীতের বাতাসে মিশে থাকে পিঠে-পুলি, পায়েসের সুঘ্রাণ। হঠাৎ মিষ্টি খাওয়ার বায়না জুড়লে বাড়ির গৃহিণী সকলের জন্য চটজলদি বানিয়ে ফেলেন ক্ষীর। শীতের আমেজে অমৃত স্বাদের ক্ষীর মন এবং প্রাণ দুই-ই জুড়িয়ে দেয়। এমনিতে পরিমাপ মতো প্রতিটি উপকরণ দিয়ে বানালে ক্ষীরের স্বাদ ঠিকঠাকই হয়। কিন্তু ক্ষীর হবে ঘন, জমাট বাঁধা। মুখে দিলেই পরমতৃপ্তি বুজে আসবে চোখের পাতা। কিন্তু অনেকেরই আপসোস শত চেষ্টা করেও তেমন রাজকীয় স্বাদের ক্ষীর বাড়িতে তৈরি করা যায় না। ছোটখাটো কয়েকটি বিষয়ে নজর দিলেই সেটা সম্ভব হবে।
ফুল ফ্যাট মিল্ক
ক্ষীর তৈরির প্রধান উপকরণ হল দুধ। ক্ষীর তৈরির ক্ষেত্রে একটু ঘন দুধের প্রয়োজন। তাই ফুল ফ্যাট মিল্ক ব্যবহার করতে হবে। বেশ অনেক ক্ষণ ধরে জ্বাল দিতে হবে। ফুটিয়ে একবারে ঘন করে ফেলতে হবে। তা হলে জমজমাট ক্ষীর তৈরি হবে।
ঢিমে আঁচে রাঁধুন
মাঝারি কিংবা চড়া আঁচে ক্ষীর বানানো ঠিক নয়। তার চেয়ে ঢিমে আঁচে বানানোই শ্রেয়। বেশি আঁচে দুধ ফোটালে পুড়ে যেতে পারে। দুধ পুড়ে গেলে স্বাদ বিগড়ে যেতে পারে।
সঠিক উপকরণ
ক্ষীরে রাজকীয় স্বাদ পেতে চাইলে মেশাতে হবে জাফরান আর পেস্তা। জাফরান এবং পেস্তা দু’টিই ক্ষীরের অন্য স্বাদ আনতে পারে। তবে গোটা পেস্তা দেওয়ার চেয়ে বীজ বার করে একটু গুঁড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। স্বাদ অন্য মাত্রা পাবে।
গুড় দেওয়া যায়
চিনির বদলে শীতের ক্ষীরে গু়ড় ব্যবহার করতে পারেন। চিনির চেয়ে এমনিতে গুড় বেশি স্বাস্থ্যকর। তা ছাড়া গুড় দিলে ক্ষীর বেশ ভাল ভাবে জমেও।