Handling of Shellfish

কব্জি ডুবিয়ে খাচ্ছেন চিংড়ি-কাঁকড়া? সামুদ্রিক খাবার রান্নার সময়ে এই নিয়মগুলি মানছেন তো?

সামুদ্রিক খাবার খেতে হলে নিয়ম মানতেই হবে। যদি অ্যালার্জি থাকে তা হলে তো খাওয়াই যাবে না। কিনে এনে বাড়িতে রেঁধে খেতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা খুব জরুরি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৪ ১৭:৪২
Share:

সামুদ্রিক খাবার বাড়িতে খাওয়ার সময়ে কী কী নিয়ম মানবেন। ছবি: ফ্রিপিক।

চিংড়ি, কাঁকড়া কার না পছন্দ! চিংড়ির হরেক পদ প্রায় সব বাঙালি বাড়িতেই রাঁধা হয়। আর ঝাল ঝাল কাঁকড়া হলে তো কথাই নেই! তবে আম বাঙালি এখন খাদ্যের ব্যাপারেও বৈচিত্র্য এনেছে। ‘সি ফুড’ বলতে এখন কেবল চিংড়ি বা কাঁকড়াতে থেমে নেই। স্কুইড, অক্টোপাসও ধীরে ধীরে বাঙালির হেঁশেলে জায়গা করে নিচ্ছে। সেল্ড লবস্টার, ব্রাউন থেকে গোল্ডেন বাসুলি সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছও এখন রেস্তোরাঁয় গিয়ে দিব্যি খাচ্ছে বাঙালি। কিন্তু কথা হল, সামুদ্রিক খাবার খেতে হলে নিয়ম মানতেই হবে। যদি অ্যালার্জি থাকে তা হলে তো খাওয়াই যাবে না। কিনে এনে বাড়িতে রেঁধে খেতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা খুব জরুরি। না হলেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে জটিল রোগ।

Advertisement

সামুদ্রিক খাবার আর পাঁচটা খাবারের থেকে আলাদা। তাই এর সংরক্ষণ পদ্ধতিও ভিন্ন। ঠিকমতো গাইডলাইন মেনে চলতে পারলে, সামুদ্রিক খাবার থেকে অ্যালার্জি বা সংক্রমণের ভয় থাকবে না।

কী কী নিয়ম মানবেন?

Advertisement

১) বাজার থেকে সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া বা ঝিনুক কিনে আনার পর বেশি ক্ষণ ফেলে না রাখাই ভাল। বাড়ি এসেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিষ্কার করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন।

২) যদি বাজার থেকে বরফে রেখে দেওয়া বা ফ্রোজেন ‘সি ফুড’ কেনেন, তা হলে খেয়াল করুন সেগুলি সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছিল কি না। হিমায়িত খাবার কিনলে তার মোড়ক ভাল করে দেখে নিন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে সেটি কিনবেন না।

৩) বাজার থেকে কাঁচা সামুদ্রিক মাছ কেনার সময় ভাল ভাবে দেখে নিন। টাটকা মাছ হলে তবেই কিনুন। গন্ধেই অনেক সময় মাছ টাটকা কি না বোঝা যায়। যদি অ্যামোনিয়ার মতো গন্ধ থাকে, তা হলে বুঝতে হবে সেই মাছ টাটকা নয়। মাছের টুকরোগুলি খেয়াল করুন। যদি দেখেন সেগুলির রং বদলে গিয়েছে, অনেক বেশি গাঢ় রং এবং গন্ধ বার হচ্ছে, তা হলে কিনবেন না।

৪) সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি বা কাঁকড়া খুব ভাল করে পরিষ্কার করতে হয়। সামুদ্রিক মাছে লেড, ক্যাডমিয়াম, সিসার মতো ভারী ধাতু থাকে। এগুলি বেশি পরিমাণে শরীরে ঢুকলে হার্টের রোগ হওয়ার ঝুঁকি

৫) ফ্রিজে রাখলেও বেশি দিন ফেলে রাখবেন না। চিংড়ি বা কাঁকড়া ফ্রিজে ঢোকানোর ৫ দিনের মধ্যেই খেয়ে নিলে ভাল। বেশি দিন ফেলে রাখলে তাতে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। তখন পেটের গোলমাল, বমি, ডায়েরিয়ার ঝুঁকি বাড়বে।

৬)সামুদ্রিক খাবারে বিভিন্ন রকম পরজীবী বাসা বেঁধে থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই ভাল করে পরিষ্কার করে উচ্চতাপে রান্না করে খেতে হবে। আধ কাঁচা বা অল্প সিদ্ধ করে খেলে তা বিপজ্জনক হতে পারে।

৬) সামুদ্রিক মাছ বা সি-ফুডে সালমোনেল্লা ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়। তাই রান্না করা খাবারদাবারের পাশে কাঁচা সামুদ্রিক মাছ অথবা সামুদ্রিক খাবার রাখলে, তা থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকবে। তাই সামুদ্রিক খাবার ফ্রিজে আলাদা ভাবে সংরক্ষণ করাই নিরাপদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement