দইয়ের ঘোল ব্যবহার করে রকমারি রান্নায় স্বাদও বাড়ানো যায়। ছবি: ফ্রি পিক।
গরমের দিনে তেতেপুড়ে এলে এক গ্লাস ঠান্ডা দইয়ের ঘোল যেন প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। দইয়ের ঘোলের অনেক গুণ। দই শরীরে প্রো-বায়োটিকের জোগান দেয়। যা হজমে সাহায্য করে। তবে, যদি কোনও কারণে দইয়ের ঘোল বেঁচে যায়, তা নিয়ে বেশি ভাবনার দরকার নেই। বরং জেনে নিন দইয়ের ঘোল কী ভাবে অন্যান্য খাবারে ব্যবহার করতে পারেন।
স্যালাড
কুচি করে কাটা পেঁয়াজ, শসা দইয়ের ঘোলে মিশিয়ে নিতে পারেন। খেতে লাগবে রায়তার মতোই। প্রয়োজন মতো ঘোলের সঙ্গে লেবুর রস, মধু, ধনে পাতা বা মশলা যোগ করতে পারেন।
ফ্রায়েড চিকেন
ফ্রায়েড চিকেন বা মুরগির মাংসের রসালো পদে ব্যবহার করা যেতে পারে দইয়ের ঘোল। দইয়ের ঘোলে কাঁচা মুরগির মাংস বেশ কিছু ক্ষণ ডুবিয়ে রেখে তার পর রান্না করলে, মাংস নরম ও সুস্বাদু হয়। ফ্রায়েড চিকেন বানানোর সময় হাড় ছাড়া লম্বা করে কাটা মুরগির মাংস দইয়ের ঘোলে ভিজিয়ে রাখলে ভিতরটা রসালো থাকে। মুরগির মাংস দইয়ের ঘোল থেকে তুলে তাতে আদা ও রসুন বাটা, লঙ্কার গুঁড়ো, গোলমরিচ ও নুন মাখিয়ে নিতে হবে। তার পর কর্নফ্লাওয়ার ও বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে নিলেই মুচমুচে ফ্রায়েড চিকেন তৈরি হয়ে যাবে।
চিলা
দইয়ের ঘোল দিয়ে বেসন গুলে তাতে কাঁচা লঙ্কা, জিরে, ধনে পাতা কুচি মিশিয়ে চিলা বানিয়ে নিতে পারেন। চিলার জন্য জল দিয়েই বেসন গোলা হয়। তবে দইয়ের ঘোল যোগ করলে চিলার স্বাদ ও গন্ধ দুই-ই বৃদ্ধি পাবে। দইয়ের ঘোলের মধ্যে বেসন ও পছন্দ মতো মশলা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর পাতলা মিশ্রণটি হাতার সাহায্যে কড়াইতে দিয়ে পাতলা গোল চিলা ভেজে নিতে হবে।
কারি
পকোড়া হোক বা গাট্টে— কারি তৈরি হয় দই দিয়ে। দইয়ের ঘোল বাড়তি হলে এর সঙ্গে বেসন মিশিয়ে, মিশ্রণটি ঘন করে নিতে হবে। টক, মিষ্টি ও ঝালের সঠিক সংমিশ্রণে তৈরি কারির সঙ্গে রুটি, ভাত দুটোই ভাল লাগবে। কারি বানানোর জন্য দইয়ের ঘোলের সঙ্গে বেসন মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি একটু পাতলাই থাকবে। কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে সর্ষে ফোড়ন দিয়ে দইয়ের ঘোল ও বেসনের মিশ্রণটি দিয়ে আঁচ কমিয়ে ক্রমাগত নাড়তে হবে। একটু ঘন হলে এর সঙ্গে পকোড়া বা বেসনের গাট্টে মিশিয়ে নিতে পারেন।
স্মুদি
দইয়ের ঘোলের সঙ্গে ওট্স, কলা, আম, স্ট্রবেরি, পছন্দের যে কোনও ফল মিশিয়ে স্মুদি তৈরি করে নিতে পারেন।