কফি পানীয় হিসাবে খাওয়া ছাড়াও ব্যবহার করা যায় নান পদে। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের দিনে এক কাপ ধূমায়িত কফি কিংবা গরমে বরফ মেশানো ঠান্ডা কফি, এক চুমুকেই শরীর ও মন জুড়িয়ে যায়। স্নায়ুকে চাঙ্গা করতে, মেদ ঝরাতে, মানসিক ক্লান্তি দূর করতে কফির জুড়ি মেলা ভার। তবে কফি বলতে আমরা বুঝি পানীয়, যা ঠান্ডা বা গরম দু’ভাবেই খাওয়া যায়।
কিন্তু রকমারি পদও কফির গুণে সুস্বাদু হয়ে উঠতে পারে। কী ভাবে কোন খাবারে মেশাবেন কফি?
স্মুদি
ওট্স দিয়ে তৈরি স্মুদি যদি একঘেয়ে লাগে, তা হলে স্বাদ বদলে ব্যবহার করতে পারেন কফি। ওট্সের সঙ্গে দুধ, রকমারি ফল ও বাদাম মিশিয়ে স্মুদি তৈরির সময় মিশিয়ে দিন এক চামচ কফি। তা হলেই স্মুদিতে মিশবে কফির স্বাদ, জুড়বে পুষ্টিগুণও।
প্যানকেক
ময়দা, দুধ ও ডিমের মিশ্রণ দিয়ে প্যানকেক তৈরি হয়। এই মিশ্রণে কিছুটা কালো কফি ও কিছুটা কফির গুঁড়ো মিশিয়ে দিতে পারেন। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে প্যানকেক তৈরি করে নিলেই তাতে বেশ কফির গন্ধ পাওয়া যাবে। অনেকের ডিমের গন্ধ লাগে, কফি মেশালে সেই গন্ধও ঢাকা পড়ে যাবে।
ফ্রেঞ্চ টোস্ট
দুধ, ডিমের মিশ্রণে পাঁউরুটি ডুবিয়ে ফ্রেঞ্চ টোস্ট করা হয়। ওই মিশ্রণে যদি কিছুটা কালো কফি বানিয়ে মিশিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে পাউরুটির মধ্যে কফির গন্ধ ও স্বাদ মিশবে। বেশ অন্য রকম স্বাদ পাওয়া যাবে। কফি-প্রেমী হলে মন্দ লাগবে না।
কাপ কেক
বাড়িতে কাপ কেক বানানোর সময় মিশ্রণে যদি কফির বেশ কিছুটা গুঁড়ো মিশিয়ে নেওয়া যায়, তা হলে কেকের গন্ধই বদলে যায়। হাতের কাছে যদি ভ্যানিলা এসেন্স বা কোকো পাউডার না থাকে, তা হলে বেশ কিছুটা কফি মিশিয়ে নিলে ডিমের আঁশটে গন্ধ চলে যায়, আবার অন্য রকম স্বাদও হয়।
ইয়োগার্ট
ইয়োগার্টেও এক চামচ কফি মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে বিশেষ কোনও স্বাদ-গন্ধের ইয়োগার্টে নয়, তা হলে একটার সঙ্গে অন্য স্বাদ তালগোল পাকিয়ে যাবে।