ইফতারের সময়ে বাড়িতে অতিথি এলে, বাইরের খাবার না এনে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন মুখরোচক কিমা শিঙাড়া। ছবি- সংগৃহীত
রোজা শুরুর আগে সেহরিতে বিশেষ ভাজাভুজি না খেলেও সন্ধেবেলা মুখরোচক কিছু চাই। আর আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধবরা যদি একসঙ্গে রোজা ভাঙেন, তা হলে তো কথাই নেই। রোজ রোজ এক রকম খাবার চলবে না। দীর্ঘ এক মাস এমন ভাবে উপোস রাখা তো মুখের কথা নয়। স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখতে হবে। তাই ইফতারের সময়ে বাড়িতে অতিথি এলে, বাইরের খাবার না এনে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন মুখরোচক কিমা শিঙাড়া। কেমন করে বানাবেন? রইল তার সহজ রেসিপি।
উপকরণ
খাসির মাংসের কিমা: ২০০ গ্রাম
ময়দা: ৩ কাপ
রসুন বাটা: ১ চা চামচ
আদা বাটা: ১ চা চামচ
পেঁয়াজ কুচি: ২ টেবিল চামচ
ধনে পাতা: ১ টেবিল চামচ
পুদিনা পাতা: ১ টেবিল চামচ
দই: ১ টেবিল চামচ
লঙ্কা কুচি: ১ টেবিল চামচ
তেল: ভাজার জন্য
সন্ধেবেলা ইফতারে বানিয়ে ফেলতে পারেন এমন মুখরোচক শিঙাড়া। ছবি- সংগৃহীত
প্রণালী
১) প্রথমে ময়দায় অল্প নুন আর তেল মিশিয়ে নিন। এর পর ময়দা মেখে রেখে দিন অন্তত আধ ঘণ্টা।
২) এর পর শিঙাড়ার পুর তৈরি করে নিন। এর জন্য কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন এবং আদা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। এর মধ্যে দিয়ে দিন মাংসের কিমা। ভাল করে নাড়াচাড়া করে এর মধ্যে দিয়ে দিন দই, গরম মশলা, নুন এবং লঙ্কা। আরও খানিক ক্ষণ কষিয়ে নিয়ে নামাবার আগে ধনেপাতা, পুদিনা পাতা এবং গরম মশলা দিয়ে নাড়িয়ে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে, চাপা দিয়ে রাখুন।
৩) এ বার মেখে রাখা ময়দা থেকে লেচি কেটে ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে নিন। এ বার লুচির মতো বেলে নিন। এ বার মাঝ খান থেকে কেটে সমান দু’ভাগে ভাগ করে নিন। দেখতে অনেকটা অর্ধেক চাঁদের মতো লাগবে।
৪) এ বার এই অর্ধেক কাটা লুচির মাঝে মাংসের পুর ভরে দিন। মোড়ার আগে লুচির ধার বরাবর একটু জল দিয়ে নিন। তার পর পানের মতো করে মুড়ে ফেলুন।
৫) এ বার কড়াইতে তেল গরম করতে দিন। হালকা গরম হলে পুর ভরা শিঙারাগুলি ডুবো তেলে ভেজে নিলেই হবে।